বিএনপি আমলে শুরু হওয়া বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড এখনো চলছে : জি এম কাদের

সংসদ প্রতিবেদক:
সরকারি বিভিন্ন বাহিনীর বিচার বহির্ভূত হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলেছেন বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের। ১০ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সংসদের নবম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি বলেন, বেআইনি কাজ বন্ধ করতে প্রয়োজন আইনি ব্যবস্থা। বেআইনি কাজ বেআইনিভাবে প্রতিরোধ ন্যায়বিচারের পরিপন্থী। তিনি বলেন, সরকারি বাহিনী দ্বারা নির্দোষ লোককে হত্যা করা হচ্ছে। ব্যক্তি স্বার্থে ভাড়াটিয়া বাহিনী হিসেবে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ আসছে, মামলায় প্রমাণ হচ্ছে। মাদক বিরোধী অভিযান, চরমপন্থীদের দমন, সন্ত্রাসী দমন, ধর্মীয় উগ্রপন্থী দমনের নামে পরিচালিত কথিত বন্দুকযুদ্ধের নামে বিচার বহির্ভূত হত্যা সংগঠিত হয়। এখন রাজনৈতিক কর্মী, বিভিন্ন পেশার কর্মজীবীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর রোষের শিকার হয়ে বন্ধুকযুদ্ধ ও গুমের ভিকটিম হচ্ছে।

বিরোধী দলীয় উপনেতা বলেন, বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের সময় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ২০০২ সালে অপারেশন ক্লিনহার্ট নামে একটি বিশেষ অভিযান চালানো হয়। সে অভিযানের সময় সর্বপ্রথমে বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ডের শুরু হয়। সেই ধারা আজও চলমান। এই হত্যাকান্ড কোন ভাবেই বন্ধ করা যাচ্ছে না। এই অবস্থার আবসান ঘটানোই এখন সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। করোনাকালে অনিয়ম দুর্নীতির সমালোচনা করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ইতোমধ্যে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিস্কার হওয়ার পথে। যা মানবদেহে প্রয়োগের পূর্বে পরীক্ষার তৃতীয় পর্যায়ে আছে। এই সংবাদে আমরা সকলেই আশ্বস্থ হয়েছি। আরও জানতে পেরেছি সরকার ৯ কোটি ডলারের দুটি প্রকল্পের মাধ্যমে ভ্যাকসিন কেনার প্রস্ততি নিচ্ছে। যে মুহুর্তে ব্যবহার উপযোগী হবে, তখন থেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব করোনা ভ্যাকসিন সংগ্রহের ব্যবস্থা করা হবে। এই ভ্যাকসিন কেনার বিষয়ে যাতে কেউ কোন অনিয়মের আশ্রয় নিতে না পারে এবং কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করে মাত্রাতিরিক্ত দাম আদায় করতে না পারে সে বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।

স্বাস্থ্য খাতে দুনীতি প্রসংগে জিএম কাদের বলেন, সেন্ট্রাল মেডিকেল ষ্টোরেজ ডিপো (সিএমএসডি)’র সাবেক পরিচালক প্রয়াত ব্রিগেডিয়ার শহীদউল্লাহ জানিয়েছেন, সিএমএসডি ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জন্য কিছু যন্ত্রপাতি কেনাকাটার বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল। একটি প্রতিষ্ঠান কাজ শেষ করে সাড়ে চারশ’ কোটি টাকা তুলে নিয়ে যাওয়ার পর আবিস্কার হয়, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে যন্ত্রপাতিই পৌছায়নি। দুর্নীতি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

Print Friendly, PDF & Email