প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নে কাজ করছে গণপূর্ত

রফিকুল ইসলাম সবুজ, বিশেষ প্রতিনিধি, দৈনিক সময়ের আলো:
মানুষের খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা সহ সবার জন্য মানসম্মত আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অন্যতম স্বপ্ন। সে স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে তাঁরই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আর প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নে কাজ করছে গণপূর্ত মন্ত্রনালয় এবং মন্ত্রনালয়ের অধিনস্থ সংস্থা গণপূর্ত অধিদপ্তর। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সরকারের বিশাল কর্মযজ্ঞ গুণগত মান রক্ষা করে এবং নির্ধারিত সময়ে বাস্তবায়নে অগ্রনী ভূমিকা পালন করছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে নিষ্ঠার সাথে গণপূর্ত অধিদপ্তরও বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন অগ্রযাত্রায়ও অংশীদার হয়েছে গণপূর্ত অধিদপ্তর।

সরকারের বিশাল উন্নয়ন কর্মযজ্ঞের গুণগত মান রক্ষা করতে চান বলে জানিয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ। তিনি বলেন, পরিকল্পিত আবাসন ও টেকসই নগরায়ণ আমাদের মন্ত্রণালয়ের অন্যতম লক্ষ্য। উন্নয়ন মন্ত্রণালয় হিসেবে এ মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। দেশ ও জাতির কল্যাণে আমরা সদা প্রস্তুত। শরীফ উদ্দিন আহমেদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন সাধারণ মানুষের অধিকারের কথা বলেছেন। সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে তিনি জেল-জুলুম, অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করেছেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কখনো অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ করেন নি। মানুষের খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা সহ মানসম্মত আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা ছিল তাঁর বড় স্বপ্ন। সে স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

এদিকে দেশের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের আবাসন সংকট নিরসনে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে রাজধানীর আজিমপুর, মতিঝিল, মিরপুর ও জিগাতলায় ইতিমধ্যে ৯ টি প্রকল্পের আওতায় ৩০১২টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করে তা হস্তান্তর করেছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। আরও ১৭টি প্রকল্পের মাধ্যমে ৯৭৩৪টি ফ্ল্যাট নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়া আরও ৯টি প্রকল্পের আওতায় ৮৮৩৫টি ফ্ল্যাট নির্মাণ কাজ অনুমোদনের জন্য বিবেচনাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো: আশরাফুল আলম। তিনি বলেন, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারিদের আবাসনের হার ৮ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২২ শতাংশে উন্নীত হবে। এছাড়া বাকি ফ্ল্যাটের চাহিদা ২০৪১ সালের মধ্যে পূরন করা সম্ভব হবে।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রনালয়ের অধীনস্থ গণপূর্ত অধিদপ্তর বাংলাদেশে নির্মান অঙ্গনের পথিকৃত। প্রায় দুই শত বছর ধরে পিডব্লিউডি দেশের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় মান নির্ধারণ করে আসছে। এটি সরকারী নির্মান প্রকল্প বাস্তবায়নে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে। এছাড়া অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসাবে স্বশাসিত সংস্থাগুলোর প্রকল্প বাস্তবায়নেও এর ভূমিকা রয়েছে। প্রধান প্রকৌশলী জানান, গণপূর্ত বিভাগের একটি দক্ষ ও অভিজ্ঞ জনবল রয়েছে, যাদের মধ্যে আছেন সিভিল, ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়াররা। এছাড়া স্থাপত্য অধিদপ্তরের স্থপতিরাও তাদের সঙ্গে পাশাপাশি কাজ করে থাকেন। বছরের পর বছর ধরে গড়ে উঠা পেশাদারিত্ব ও কাজের সুউচ্চ মান পিডব্লিউডির অভিজ্ঞতাকে আরো সমৃদ্ধ করেছে। তাই যেকোনো নির্মান প্রকল্পের জন্য পিডব্লিউডি-ই সবার প্রথম পছন্দ। অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল আলম জানান, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটানা তিন মেয়াদের সরকার আমলে গণপূর্ত অধিদপ্তরের উন্নয়ন কাজ রেকর্ড গড়েছে। কারন অতীতে অন্য কোন সরকার আমলেই এতো বেশি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়নি। তিনি বলেন, নির্মাণ কাজের গুনগতমান সঠিক রাখার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকেন তারা।

এ সরকারের অধীনে চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে আরও আছে দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় ৫৬০ টি মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ, ৬৪টি জেলায় চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট নির্মাণ, জেলা রেজিস্ট্রি ও সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ভবন নির্মাণ, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল ভবনের বর্তমান জায়গায় ১৫ তলা ভবন নির্মাণ প্রকল্প। এছাড়া ১০১ জরাজীর্ণ থানা ভবন নির্মাণ, দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ বিভাগের ৫০ টি হাইওয়ে আউট পোষ্ট নির্মাণ, বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ বিভাগের জন্য ৯ টি আবাসিক টাওয়ার ভবন নির্মাণ, ৪৬টি ফায়ার স্টেশন নির্মাণ, ৫০০ ইউনিয়ন ভূমি অফিস ও ১০০ উপজেলা ভূমি অফিস নির্মাণ, টাঙ্গাইলে শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল সম্প্রসারণ, গোপালগঞ্জে শেখ লুৎফর রহমান ডেন্টাল কলেজ স্থাপন, গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল নির্মাণ, তথ্য কমিশন ভবন নির্মাণ, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন ভবন নির্মাণ, ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ (৩য় পর্যায়), জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কমপ্লেক্স, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা কার্যালয়ে ২ টি বেইজমেন্টসহ ২০ তলা বিশিষ্ট প্রধান কার্যালয় নির্মাণ, বাংলাদেশের ৩৭টি জেলায় সার্কিট হাউজের উর্দ্ধমূখী সম্প্রসারণ প্রকল্প, বিপিএটিসি এর প্রশিক্ষণ সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প, বাংলাদেশ সরকারী কর্মকমিশন সচিবালয় এর উর্দ্ধমূখী সম্প্রসারণ, ঢাকাস্থ রমনা পার্কের অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং রমনা লেকসহ সার্বিক সৌন্দর্য বৃদ্ধিকরণ, অফিসার্স ক্লাব, ঢাকা এর ক্যাম্পাসে বহুতল ভবন নির্মাণ, বাংলাদেশ সচিবালয়ে ২০-তলা বিশিষ্ট নতুন অফিস ভবন নির্মাণ।

সংস্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, এছাড়াও অনেক গুরুত্বপূর্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন গণপূর্ত অধিদপ্তর। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো জাতীয় সংসদ ভবনের কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য ৪৪৮ টি ফ্ল্যাট নির্মাণ, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের জন্য ৭৬টি ফ্ল্যাট নির্মাণ, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের অভ্যন্তরীণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্প, বাংলা একাডেমি ভবন নির্মাণ, চট্রগ্রাম ৪ তলা বিশিষ্ট নতুন আদালত ভবন নির্মাণ, মুন্সিগঞ্জ জেলায় ইঞ্জিনিয়ারিং স্টাফ কলেজ (২য় পর্যায়), গাজিপুরে শেখ ফজিলাতুননেসা মুজিব মেমোািরয়াল বিশেষায়িত হাসপাতাল এবং নার্সিং কলেজ নির্মান, ঢাকাস্থ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ, মেহেরপুর মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিকেন্দ্র নির্মাণ, ঢাকায় পুলিশ টাওয়ার নির্মান, ২টি এসএসএফ কোয়ার্টারস (১টি ১১ তলা কর্মকর্তাদের জন্য এবং ১টি ১৪ তলা কর্মচারীদের জন্য), বিএসটিআই ভবন, বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র (বিটাক) এর হোষ্টেল নির্মাণ, চট্টগ্রামে নতুন আদালত ভবন নির্মাণ, ঢাকায় ন্যাশনাল ইনষ্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস ভবন এবং খিলগাঁও এ ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল, তেজগাঁও এ জাতীয় ইএনটি ইন্সটিটিউট, ঢাকাস্থ আজিমপুরে সরকারী কলোনীতে বহুতল বিশিষ্ট আবাসিক ভবন নির্মাণ, মতিঝিলে সরকারী কলোনীতে বহুতল বিশিষ্ট আবাসিক ভবন নির্মাণ, জাতীয় সংসদ ভবনের পূর্ত কাজ, বৈদ্যুতিক ও যান্ত্রিক সিস্টেম এর উন্নয়ন, বঙ্গভবনের অভ্যন্তরে রাষ্ট্রপতির রেসিডেন্স ব্লক সংলগ্ন পূর্বদিকে সুইমিংপুল স্থাপন, ঢাকাস্থ মিরপুর ৬ নং সেকশনে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের জন্য ১০৬৪ টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ, ঢাকাস্থ মিরপুর পাইকপাড়ায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের জন্য ৬০৮ টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ, মিরপুর ৬ নং সেকশনে গণপূর্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তা/ কর্মচারিদের জন্য ২৮৮ টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ, ঢাকার বেইলী রোডে মন্ত্রীদের জন্য আবাসিক ভবন নির্মাণ (মিনিস্টার্স এপার্টমেন্ট-৩ নির্মাণ), ইস্কাটনে সিনিয়র সচিব/সচিব/গ্রেড-১ কর্মকর্তাদের জন্য ৩টি ২০ তলা ভবনে ১১৪ টি ফ্ল্যাট নির্মাণ, ঢাকার মালিবাগে সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারীদের জন্য ৪৫৬টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা।

গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল আলম জানান, জমির সর্বোত্তম ব্যবহার ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার স্বার্থে পরিকল্পিত অবকাঠামো বিনির্মাণে ভূমিকা রাখছে গণপূর্ত অধিদপ্তর। দেশের সকল প্রকার নির্মাণ শিল্পে সুস্থ পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড এর প্রয়োগে কার্যকর ভূমিকা রাখা, ভবন নির্মাণে ভুমিকম্প প্রতিরোধক আধুনিক প্রযুক্তির হস্তান্তর, প্রয়োগ ও প্রসার এ কার্যকর ভুমিকা পালন করা হচ্ছে।

করোনার মোকাবেলায়ও কাজ করেছে গণপূর্ত অধিদপ্তর: ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মিসহ অন্যান্য পেশাজীবীদের মতো গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রকৌশলীরাও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনা মোকাবেলায় কাজ করছেন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কোয়ারেন্টাইন সেন্টার ওআইসোলেশন ইউনিট নির্মাণের কাজ করেছে গণপূর্ত অধিদপ্তর। একারনে করোনা পরিস্থিতিতে সরকারি সাধারণ ছুটির মধ্যেও মাঠে থাকতে হয়েছিল সংস্থার মাঠ পর্যায়ের অধিকাংশ প্রকৌশলী কর্মচারিকে। অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম জানান, রাজধানীসহ সারাদেশের সব জেলায় স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট সকল অবকাঠামো তৈরী অস্থায়ী ল্যাব হাসপাতাল নির্মাণ রক্ষনাবেক্ষন কাজ সম্পন্ন করেছেন তারা।  ইতোমধ্যে আশকোনার হজ্ব ক্যাম্প কোয়ারেন্টাইনের উপযোগী করা, ১৯টি হাসপাতালে পিসিআর ল্যাবরেটরির অবকাঠামো নির্মাণ, ৪৮টি হাসপাতালে ১০০০র শয্যার আইসোলেশন ইউনিট নির্মাণ, ৯টি হাসপাতালে ৯০০ শয্যার কোয়ারেন্টাইন সেন্টার স্থাপন, ১২টি হাসপাতালে ৪০০ শয্যার করোনা ইউনিট স্থাপন, আইইডিসিআর এর নতুন ১০ তলা ভবনের নীচতলায় স্যাম্পল কালেকশন কক্ষ ও ক্যান্টিন এবং ডিউটি ডাক্তারদের থাকার জন্য আবাসনের ব্যবস্থা, কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালের তিনটি কক্ষকে আধুনিকায়ন এর মাধ্যমে ২৯ শয্যার আইসিইউ নির্মাণ এবং করোনা রোগীদের ব্যবহার সামগ্রী পোড়ানোর জন্য ইনসিনারেটর নির্মাণ, মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ১৮০ শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ড এবং ১০ শয্যার আইসিইউ নির্মাণ করা হয়েছে।

গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রকৌশলীরা জানান, কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় হাসপাতালগুলোতে পিসিআর ল্যাবরেটরির অবকাঠামো নির্মাণ, আইসোলেশন ইউনিট, কোয়ারেন্টাইন সেন্টার, করোনা ইউনিট স্থাপন ছাড়াও এসব স্থাপনাগুলোতে নিরবিছিন্ন পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতকরণসহ জীবাণুনাশক ছিটানোর কাজটিও নিয়মিত করতে হয়েছে তাদের। ইতিমধ্যে ঢাকা,নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, সিলেট, রংপুর, রাজশাহী, বগুড়া, খুলনা মেডিকেলসহ ১৯টি হাসপাতালে পিসিআর ল্যাবরেটরির অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল,নারায়ণগঞ্জ খানপুরের ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল, গোপালগঞ্জ জেলা হাসপাতাল, কুড়িগ্রাম জেলা হাসপাতাল, রাজশাহী মেডিকেল কলেজসহ ৪৮টি হাসপাতালে ১০০০’র শয্যার আইসোলেশন ইউনিট নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ খানপুরের ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল, মুন্সিগঞ্জ জেলা হাসপাতাল, নরসিংদী জেলা সদর হাসপাতাল, টাঙ্গাইলের ট্রমা সেন্টারসহ জেলা হাসপাতালগুলোর মধ্যে ৯টি হাসপাতালে ৯৫০ শয্যার কোয়ারেন্টাইন সেন্টার, ১২ টি হাসপাতালে ৪০০ শয্যার করোনা ইউনিট স্থাপনসহ বিভিন্ন হাসপাতালে আইসিইউ বেড বসানো হয়েছে ।

মুজিববর্ষে নানান কর্মসুচি: অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম জানিয়েছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ‘মুজিব বর্ষের অঙ্গিকার, গণপূর্ত টেকসই উন্নয়নের রুপকার’ এই শ্লোগান নিয়ে মুজিববর্ষ পালন করেছে অধিদপ্তর। বছরব্যাপী পূর্ত ভবনসহ সংস্থার সকল কার্যালয়ে বৃক্ষরোপন কর্মসুচি পালন এবং মুজিব কর্নার স্থাপন করা হয়েছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নির্বাচনী ইশতেহারে দূর্নীতিকে জিরোটলারেন্স ঘোষনা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনা তিনি প্রধান প্রকৌশলী হিসিবে দায়িত্ব গ্রহণের পরই অধিদপ্তরের সকল কর্মকর্তা কর্মচারিদের স্মরন করিয়ে দিয়েছেন। দূর্নীতির বিরুদ্ধে অধিদপ্তরের অধিকাংশ কর্মকর্তা কর্মচারিই সোচ্চার। তিনি দায়িত্ব নিয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সঙ্গে কাজ করে সংস্থার অতীত ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার জন্য নানান পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। ক্রয় ও দরপত্র জটিলতা নিরসন, অনুসন্ধান ও মূল্যায়ন, জনসংযোগ ও প্রচার, কার্যপরিধি নির্ধারক এবং প্রকল্প প্রণয়ন ও নকশা সংক্রান্ত ৫ টি আলাদা আলাদা কমিটি গঠন করে সিনিয়র প্রকৌশলীদের দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। এতে সংস্থার কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হচ্ছে। মুজিব বর্ষে বছর জুড়ে নানান কর্মসুচি ও পদক্ষেপের মাধ্যমে সংস্থার ভাবমুর্তি আরো উজ্জল করা সম্ভব হচ্ছে বলে জানান তিনি।

Print Friendly, PDF & Email