নিজস্ব প্রতিবেদক
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া অডিও ক্লিপটি ‘সুপার এডিট করা’ বলে জানিয়েছেন ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন। চরভদ্রাসন উপজেলার উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি গোষ্ঠী ইচ্ছাকৃতভাবে এমন অডিও তৈরি করেছে বলে জানান তিনি। নির্বাচনে জেলা প্রশাসন পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে স্থানীয় নির্বাচনে জেলা প্রশাসনের পক্ষপাতমূলক আচরণ ও নির্যাতনের প্রতিবাদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, অডিও ক্লিপটির বিষয়ে তার কাছে জিজ্ঞাসা না করে সরাসরি ইউএনওকে সাংবাদিকরা কেন জিজ্ঞাসা করছে না? আমার এলাকার ইউএনওদের সঙ্গে আমার ভাই বোনের সম্পর্ক। তাদের সাথে কখনোই আমার কোনো দ্বন্দ্ব হয়নি। তাদের এ ধরনের কথা আমি বলতেই পারি না।
এ সময় নির্বাচনে আচরণবিধি ভঙ্গ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দিনব্যাপী আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর চালানো নির্যাতনের কারণে অনেকেই ক্ষুব্ধ ছিলেন। প্রশাসনের অনুরোধেই তাদের শান্ত করার জন্য আমি যাই। এ সময় সকলের কাছে হাতজোড় করে শান্ত থাকার অনুরোধ করি আমি। কিন্তু ভিডিওতে সেই অংশটুকু কেটে দেয়া হয়েছে।
মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন বলেন, চরভদ্রাসন উপজেলার উপনির্বাচনে নির্বাচন কমিশন থেকে সেন্টারগুলোতে চার জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু নির্বাচনের আগের দিন জানা যায় সেখানে ১৩ জন দায়িত্ব পালন করবেন। এই ১৩ জন দায়িত্ব পালনের কোন চিঠি আমরা পাইনি। নির্বাচনের দিন সকাল থেকে অনেক ম্যাজিস্ট্রেট সেন্টারের মুখে অবস্থান নেন। এসময় তারা মারমুখী আচরণ করেন। এতে ভোটাররা ভীত হয়ে পড়ে। অনেক ভোটার ভোট দেওয়ার আগ্রহ হাড়িয়ে ফেলে। প্রতিটি সেন্টারের মধ্যে প্রতিটি বুথের ভেতরে ইউএনওর পেশকারদের দেখা গেছে। যার প্রমাণও আমাদের কাছে রয়েছে।
তিনি বলেন, নির্বাচনে চরভদ্রাসন উপজেলা উপনির্বাচনের পর ফলাফল যা হয়েছে আমি সেটা সাদরে গ্রহণ করেছি। ফলাফল ঘোষণার পর আমি সেখানে গিয়ে স্থানীয় প্রতিনিধি হিসেবে রাস্তায় দাঁড়িয়ে কথা বলেছি। যেনো কোন ধরণের অরাজকতা সৃষ্টি না হয়।