ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের উপ-সহকারী পরিচালক নাজমুলের দূর্নীতি তদন্তের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর নুরজাহান বছর চারেকের মধ্যে কোটি কোটি সম্পদের মালিক হয়েছেন দূর্নীতি ও মানবপাচার করে। সম্প্রতি নুরজাহানের বিরুদ্ধে মামলা হলেও ধরাছোয়ার বাইরে রয়ে গেছেন তার সহযোগীরা। এই অফিস সহকারীর দুর্নীতি তদন্তে কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে এলেও এখনো ধরাছোয়ার বাইরে নূরজাহানের গডফাদার সংস্থার উপ- সহকারী পরিচালক নাজমুল হক। নাজমুল হকের অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি বরাবর অভিযোগ গেছে।

অভিযোগে বলা হয়েছে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের আউট সোর্সিং এ যেসকল কর্মকর্তা-কর্মচারী ঠিকাদারের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত আছেন তাদেরকে অর্থের বিনিময়ে নিয়মিতকরণ বাণিজ্যের প্রধান সমন্বয়কএর কাজ করেন নাজমুল। নূরজাহান সাত্তার দম্পত্তির মানব পাচার সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে গড়েছেন অঢেল সম্পদ। এই নূরজাহান ও নাজমুল ওয়েজ আর্নারস কল্যাণ বোর্ডের একটা আতংকিত নাম। অপরদিকে আউটসোর্সিং নিয়োগ দিয়ে পরবর্তীতে তাদেরকে নিয়মিতকরণ ও বদলী বাণিজ্য করে কামিয়েছেন মোটা অংকের টাকা। ওয়েজ আর্নারস কল্যাণ বোর্ডের প্রতিটি মালামাল কেনাকাটা এবং ওয়েজ আর্নারস কল্যাণ বোর্ড-এর বিভিন্ন প্রকল্পের কাজে রয়েছে তার কমিশন বাণিজ্য। নাজমূল হক রেজিষ্ট্রেশনবিহীন নন-গেজেটেড কর্মকর্তা- কর্মচারীদের নামে ‘সমিতি’ করে প্রভাব বিস্তার করে বিত্ত-সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ‘সমিতি’ গঠন এবং ‘আদমপাচারের সঙ্গে জড়িত থেকে কোটি কোটি টাকা কামিয়ে উত্তরায় বাড়ি করার পাশাপাশি একাধিক প্লট ও ফ্ল্যাটের মালিক হয়েছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। সম্প্রতি নাজমুল হককে এয়ারপোর্টে বদলী করা হয়েছিল। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বদলী বাতিল করিয়েছেন। তার মতের বাইরে কোন কর্মচারী দাপ্তরিক নিয়মে চলতে গেলে উনি তাদেরকে কথায় কথায় সাসপেণ্ড ও বদলীর হুমকি এবং দাপ্তরিক হেনস্থা করে থাকেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এই উপ-সহকারী পরিচালক নাজমূল হক বিএনপি’র সময় অফিস সহকারী হিসেবে চাকুরীতে যোগদান করে এবং বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর পদোন্নতি পেয়ে উপ-সহকারী পরিচালক হয়েছেন।

এ বিষয়ে প্রবাসী কল্যান ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির একজন সদস্য জানান, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর নুরজাহানসহ বেশ কয়েক জন কর্মকর্তা কর্মচারির বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা পেয়েছেন। তবে করোনার কারনে কমিটির বৈঠক নিয়মিত ভাবে হচ্ছে না। পরবর্তীতে যখন বৈঠক হবে অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য মন্ত্রনালয়কে সুপারিশ করা হবে।

অভিযোগের বিষয়ে নাজমুল হক বলেন, মানবপাচারকারী নুর জাহানের সঙ্গে তার কোন সম্পৃক্ততা নেই। তাছাড়া অভিযোগ গুলো মনগড়া। তিনি কোন অনিয়মের সঙ্গে জড়িত নন। কোন একটি মহল তার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে তার ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করছে।

 

 

 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *