ড্রেজিং করে নদীর বালু কেটে ফের নদীতেই ফেলা হয়: অভিযোগ সংসদীয় কমিটির

সংসদ প্রতিবেদক:
ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নদীর বালু কেটে ফের নদীতে ফেলার অভিযোগ তুলেছে সংসদীয় কমিটি। বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সরকারি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ অভিযোগ তোলা হয়। বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি আ স ম ফিরোজ তার সংসদ ভবনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ড্রেজিং কার্যক্রমে স্বচ্ছতা নেই বলে কমিটি মনে করে। বালু তুলে নদীতে ফেলা হয়। নদীর পাড়ের জমি লিজ বা ভাড়া নিয়ে সেখানে বালু ফেলতে পারে, তাহলে কত পরিমাণ বালু তোলা হয়েছে তা জানা যাবে। আ স ম ফিরোজ বলেন, ড্রেজিংয়ের জন্য কোটি কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে। কিন্তু কার্যত ড্রেজিং দৃশ্যমান নয়। আরিচা ও মাওয়া ফেরি বন্ধ, অথচ বলা হচ্ছে ড্রেজিং চলছে। ড্রেজার কেনাতে স্বচ্ছতা নেই বলেও তিনি অভিযোগ করেন। এদিকে সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতকরণে নৌপথকে সচল রাখতে ড্রেজিং করা পলিমাটি ও বালু পুনরায় নদীতে না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা এবং নদীভাঙন রোধে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে কমিটি সুপারিশ করেছে। বৈঠকে নৌপথে যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে নৌ-টার্মিনালে প্রবেশে টিকিটের অনিয়ম ও চাঁদাবাজি বন্ধের সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে নদী খনন, নদীদূষণ ও দখল রোধসহ সকল কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দফতরগুলোর প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করার জন্য কমিটি মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে। এছাড়া, নদী দখল ও দূষণ রোধে ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ও সরকারি প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করে ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোকে উচ্ছেদ/দখলমুক্ত করার জন্য কমিটি মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে।
সভাপতি আ. স. ম. ফিরোজের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, মো. মাহবুব উল আলম হানিফ, মির্জা আজম এবং মুহিবুর রহমান মানিক অংশগ্রহণ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *