সংসদ প্রতিবেদক:
জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ নূর-এ আলম চৌধুরী বলেছেন, নৌকা ও জয় বাংলা বাঙালীর জন্য একটি শক্তি। নৌকা ও জয় বাংলা শ্লোগানের মধ্যেই স্বাধীনতা ও স্বাধীকারের অনুপ্রেরণা জড়িয়ে আছে। সংসদ লেকে নৌকা ভাসানোর মাধ্যমে সংসদের সৌন্দর্য্য আরো বাড়লো। যা দেশী বিদেশী পর্যটকদের সংসদ ভবন পরিদর্শনে আরো বেশি আকৃষ্ট করবে। বৃহস্পতিবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী “মুজিববর্ষ” উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় সংসদের লেক-এ বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন কর্তৃক নির্মিত নৌকা ভাসানো উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।
জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, জাতীয় সংসদের হুইপ মো. ইকবালুর রহিম, হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি র,আ,ম, উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, সংসদ সদস্য নাহিদ ইজাহার খান ও সংসদ সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তার প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে চীফ হুইপ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নৌকাকে প্রতীক হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন কারণ ঐ সময় দেশের জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ জীবিকা অর্জনে নৌকার উপর নির্ভরশীল ছিলেন। সেই নৌকা জাতীয় সংসদ লেকে ভাসানোর মাধ্যমে লেকের সৌন্দর্য আরো বৃদ্ধি পাবে।
বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৭০ সালের নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের মাধ্যমে বিজয় নিশ্চিত হয়। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা নেতৃত্বে নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামীলীগ বিজয়ী হয়েছে। তিনি আরো বলেন, নৌকা প্রতীকের মাধ্যমে দেশের আবহমান ঐতিহ্যকে তুলে ধরা হয়েছে। এর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা সংস্কৃতি ও সভ্যতাকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু নৌকার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতেন এবং মানুষকে মুক্তি সংগ্রামে উদ্বুদ্ধ করতেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, নৌকা দুটি বিশেষ বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত। কারুকীর্তি দেখে চোখ জুড়িয়ে যাবে যে কারও। অনেকদিন ধরে এই নৌকা তৈরি ও সাজানোর কাজ চলে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নকশা অনুমোদনের পর নৌকার মূল কাঠামো গড়া হয়েছে গয়না নৌকার আদলে। লম্বায় ২৭ ফুট। পাঁচ ফুট চওড়া। নৌকা দুটি তৈরিতে খরচ হয়েছে ৪০ লাখ টাকা। পুরো কাজের তত্ত্বাবধানে ছিলেন শিল্পী আনিসুজ্জামান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের অধ্যাপক নৌকার প্রাথমিক ডিজাইন করেন। ওই নৌকা দেখলে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে।