নিজস্ব প্রতিবেদক:
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুর ও অবমাননার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা। এই দাবি জানিয়ে সোমবার সংসদ ভবন এলাকায় মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন তারা। সকালে সংসদ সচিবালয়ের সহস্রাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারি দক্ষিণ প্লাজার পাশে জড়ো হন। এরপর তারা জাতীয় পতাকা হাতে মিছিল করে মানিক মিয়া এভিনিউয়ে গিয়ে মানববন্ধন করেন।
বাংলাদেশ সংসদ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ফোরাম আয়োজিত ওই মানববন্ধন চলাকালে বক্তৃতা করেন সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব জাফর আহমেদ খান, অতিরিক্ত সচিব মো. নুরুজ্জামান, পরিচালক (গণসংযোগ) তারিক মাহমুদ, কর্মকর্তা-কর্মাচারী ফোরামের সভাপতি কিবরিয়া মজুমদার, সহকারী পরিচালক তানজিনা তানীন, ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল খায়ের উজ্জ্বল প্রমুখ।
এ সময় সিনিয়র সচিব জাফর আহমেদ খান বলেন, দেশ যখন প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মুজিববর্ষ পালন করছে, তখন পরিকল্পিতভাবে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ভাস্কর্য ভাংচুর করা হয়েছে। স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা ও তার ভাস্কর্য ভাংচুরের মাধ্যমে একটি কুচক্রী মহল ফায়দা হাসিল করতে চায়। জনগণকে এটা প্রতিহত করতে হবে।
অতিরিক্ত সচিব নুরুজ্জামান বলেন, ১৯৭৫ সালে ষড়যন্ত্র করে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়েছে। এখন নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যখন উন্নয়নের মহাসড়কে, তখন মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করে আইনের মুখোমুখী করার দাবি জানান তিনি।
ইসলামের নামে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের চেতনায় আঘাতকারীদের ধিক্কার জানিয়ে পরিচালক তারিক মাহমুদ বলেন, তারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যই শুধু ভাঙেনি, তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ওপর আঘাত করেছে। তারা স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি। তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
উল্লেখ্য, মুজিববর্ষে ঢাকার ধোলাইড়পাড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হলে বিরোধিতা শুরু করে হেফাজতে ইসলামের নেতারা। এরপর কুষ্টিয়া শহরে বঙ্গবন্ধুর একটি নির্মাণাধীন ভাস্কর্যে ভাঙচুর করা হয়। ওই সকল ঘটনার প্রতিবাদে আয়োজিত এই মিছিল ও মানববন্ধনে সংসদ সচিবালয় ছাড়াও গণপূর্ত বিভাগ, সোনালী ব্যাংক (সংসদ সচিবালয় শাখা), নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ এবং মেডিকেল সেন্টারে কর্মরতরাও অংশ নেন।