সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষনের খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক:
নতুন বছরের প্রথম অধিবেশনে জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতি যে ভাষণ দেবেন, তার খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকে রাষ্ট্রপতির ভাষণের খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয় বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতির ভাষণের সংক্ষিপ্ত ও বিস্তারিত দুই সংস্করণে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

ভাষণে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক চিত্র, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গৃহীত পদক্ষেপ ও সাফল্য, রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নে গৃহীত কর্মসূচি ও রূপকল্প-২০৪১ প্রণয়ন, দেশে-বিদেশে কর্মসংস্থান এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়নের বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর প্রসার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়ার অগ্রগতি, বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে অজির্ত সাফল্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন ও এজন্য গৃহীত কর্মসূচি ছাড়াও প্রশাসনিক নীতি, কৌশল, উন্নয়ন দর্শন ও অগ্রযাত্রার দিক-নির্দেশনাকে ভাষণে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

সচিব জানান বৈঠকে কুড়িগ্রামে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য ‘কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০২০’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। বাংলাদেশে মোট ১৫৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম চলছে, এর মধ্যে ৪৬টি সরকারি এবং ১০৭টি বেসরকারি। আর দেশে সাতটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় চালু আছে। নতুন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়টি কুড়িগ্রামে স্থাপন করা হবে জানিয়ে আনোয়ারুল বলেন, কুড়িগ্রাম এক সময় মঙ্গাপীড়িত ছিল, সেখানে যদি এ ধরনের বিশ্ববিদ্যালয় হয় তবে গবেষণা হবে, ফার্মিং হবে। এর মধ্যে দিয়ে তাদের অবস্থার আরও উত্তরণ হবে।

কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা ও ফার্মিংয়ের মাধ্যমে যে টেকনোলজি ডেভেলপ হবে তা কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, লালমনিরহাটে বিস্তৃত হলে ওই লোকজন ফার্মিংয়ের মাধ্যমে ভুট্টা, শাক-সব্জি, মিষ্টি আলু ও মিষ্টি কুমড়া, মাছ উৎপাদনের মাধ্যমে তাদের অবস্থার আরও উন্নত করতে পারবে। এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ওই এলাকার লোকজনের কৃষি ও সার্বিক অর্থনীতির উন্নয়ন করার লক্ষ্য নিয়ে সেখানে এই বিশ্ববিদ্যালয় করা হচ্ছে। আনোয়ারুল জানান, বিশ্ববিদ্যালয়টির আচার্য হবেন রাষ্ট্রপতি, বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ট্রেজারার থাকবেন। খসড়া আইনে সিন্ডিকেট, অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল, অর্থ কমিটির বিষয়ে বিস্তারিতভাবে বলা হয়েছে। অন্যান্য কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আইনকে অনুসরণ করে নতুই এই আইন করা হচ্ছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান বাংলাদেশ গুড অ্যাগ্রিকালচারাল প্র্যাকটিস নীতিমালাও অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *