স্পিকার সুষ্ঠুভাবে সংসদ পরিচালনা করায় ভাবমূর্তি আন্তর্জাতিকভাবেও বৃদ্ধি, খুশি প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক:
জাতীয় সংসদের প্রথম নারী স্পিকার হিসেবে ২০১৩ সালের ৩০ এপ্রিল শপথ নিয়েছিলেন তৎকালিন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। একজন নারী স্পিকার হিসেবে সুষ্ঠু ভাবে দায়িত্ব পালন কতটুকু করতে পারবেন তা নিয়ে তখন ছিল নানা আলোচনা। কারন এর আগে যারা স্পিকার হয়েছিলেন তাদের বেশির ভাগই আগে ডেপুটি স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর স্পিকারের দায়িত্ব পান। কিন্তুু ডেপুটি স্পিকারের দায়িত্ব পালন না করেই প্রথমবার স্পিকারের দায়িত্ব নিয়ে সুষ্ঠু ও দক্ষতার সঙ্গে সংসদ পরিচালনা করায় অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই সরকারি ও বিরোধী দল সবার কাছেই গ্রহনযোগ্যতা অর্জন করেন। তাছাড়া টানা তিন বার স্পিকার নির্বাচিত হয়ে রেকর্ডও গড়েছেন তিনি। করোনা মহামারির মধ্যে সুষ্ঠু ভাবে সংসদ পরিচালনা করেও দেশে বিদেশে প্রশংসা পেয়েছেন স্পিকার। করোনা মহামারির মধ্যেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুষ্ঠুভাবে সংসদ পরিচলনার জন্য স্পিকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্পিকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে নিরপেক্ষভাবে এই সংসদকে পরিচালনা করছেন। যে কারণে আমাদের সংসদের ভাবমূর্তি আজ আন্তর্জাতিকভাবেও বৃদ্ধি পেয়েছে। ৩১ জানুয়ারী জাতীয় সংসদ সচিবালয় আয়োজিত ‘মুজিববর্ষের কার্যক্রম’ মুজিববর্ষ ওয়েবসাইট ২০২০-২১ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অডিও ভাষণের ডিজিটাল সংকলনের উদ্বোধন করার সময় প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।

দেশের প্রথম নারী স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ১৯৬৬ সালের ৬ অক্টোবর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা প্রয়াত রফিকুল্লাহ চৌধুরী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় তার সচিবের দায়িত্বে ছিলেন। মা প্রয়াত নাইয়ার সুলতানা পেশায় অধ্যাপক ছিলেন। স্বামী সৈয়দ ইশতিয়াক হোসাইন ওষুধ বিশেষজ্ঞ। তিনি দুই সন্তানের জননী। শিরীন শারমিনের পৈতৃক বাড়ি নোয়াখালী জেলায়। শিক্ষা জীবনের প্রতিটি পর্বে গৌরবময় সাফল্যের অধিকারী ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ১৯৯০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিষয়ে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অর্জন করে মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন। এর আগে স্নাতকেও (সম্মান) তিনি প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অর্জন করেন। ১৯৮৩ সালে এসএসসি পরীক্ষায় মানবিক শাখায় সম্মিলিত মেধা তালিকায় প্রথম এবং ১৯৮৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় একই শাখায় সম্মিলিত মেধা তালিকায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন। তিনি যুক্তরাজ্যের এসেক্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘রাইট অব ল’ বিষয়ে গবেষণায় ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। শিক্ষা জীবন শেষ করেই মানবাধিকার ও সংবিধান বিষয়ে বিশেষজ্ঞ আইনজীবী হিসেবে আইন পেশায় নিয়োজিত হন। ঐতিহাসিক মাজদার হোসেন মামলার তিনি অন্যতম আইনজীবী ছিলেন।

একাদশ জাতীয় সংসদের দুই বছর পূর্তি হয়েছে গত ২৯ জানুয়ারী। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর বহুল আলোচিত নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গঠিত বর্তমান সংসদের যাত্রা শুরু হয় ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি। সংবিধান অনুযায়ী চলতি সংসদের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারি। সেই হিসেবে ২৯ জানুয়ারী সংসদের দুই বছর পূর্ণ হয়েছে। দেশের অন্যতম বৃহত্তর বিরোধী দল বিএনপি সংসদে ফেরার পাশাপাশি প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি সরকারের ভিতর থেকে বেরিয়ে প্রকৃত বিরোধী দলের ভূমিকায় ফিরেছে। সাংবিধানিক বাধ্য-বাধকতার কারণে করোনা পরিস্থিতিতেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে অধিবেশনসহ জাতীয় সংসদের অন্যান্য কার্যক্রম চলছে। তবে স্থবির হয়ে পড়েছে অধিকাংশ সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কার্যক্রম। গত এক বছরে বেশির ভাগ কমিটিই নিয়মিত বৈঠক করতে পারেনি।

একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম বছরের শেষ দিকে বিএনপি সংসদ সদস্যদের যোগদানের মধ্য দিয়ে সংসদ আরও প্রাণবন্ত হয়। ২০২০ সালে ৮ জনসহ দুই বছরে চলতি সংসদের ১৫ জন সদস্য মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা আতঙ্কে সংসদের দক্ষিণপ্লাজায় ৫ জন সংসদ সদস্যের জানাজা হয়নি। আর ২০২০ সালে রেকর্ড সংখ্যক ১১টি আসনে উপনির্বাচন হয়েছে। বছরের শুরুতে স্থগিত হলেও বছর শেষে ‘মুজিববর্ষ’ উপলক্ষে সংসদের বিশেষ অধিবেশন সকলের দৃষ্টি কেড়েছে। সংসদ সচিবালয় সুত্র জানায়, চলতি সংসদের ১০টি অধিবেশনের মধ্যে গত বছরের ৫টি অধিবেশনের মেয়াদ ছিলো ৫৩ কার্যদিবস। জানুয়ারিতে শুরু হওয়া প্রথম অধিবেশন ২৮দিন, দ্বিতীয় অধিবেশন একদিন, তৃতীয় (বাজেট) অধিবেশন ৯ দিন, চতুর্থ অধিবেশন ৫দিন এবং সর্বশেষ পঞ্চম অধিবেশন (বিশেষ) ১০ দিন চলেছে। আগের বছরের ৫টি অধিবেশন ১০৪ কার্যদিবস চলে। বর্তমানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে একাদশ অধিবেশন চলছে।

নির্বাচনে ভয়াবহ বিপর্যয়ের পর শপথ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলো বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সংসদ সদস্যরা। কিন্তু নানা নাটকীয়তার পর তারা চলতি সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশনে যোগদান করেন। আর এতেই পাল্টে যায় সংসদ অধিবেশনের চিত্র। প্রথম বছরে নানা ইস্যুতে সংসদে উত্তাপ ছড়িয়েছেন তারা। এমনকি সেই উত্তাপ কখনো কখনো উত্তেজনায় রূপ নিয়েছিল। ফলে একাদশ সংসদের প্রথম বছর অনেক বেশী প্রাণবন্ত থাকলেও

করোনা পরিস্থিতিতে সবকিছুর মতো সংসদেও এর প্রভাব পড়ে। স্থবির হয়ে পড়ে পুরো সংসদীয় কার্যক্রম। সংসদীয় স্থায়ী কমিটিগুলোর কার্যক্রম দীর্ঘ দিন বন্ধ ছিলো। কার্যপ্রনালী বিধি অনুযায়ী প্রতিমাসে সংসদীয় কমিটির বৈঠক হওয়ার নিয়ম থাকলেও করোনাকালে অধিকাংশ কমিটি বৈঠক করেনি। অবশ্য বিশেষ ব্যবস্থায় সংসদ অধিবেশন চালিয়ে সাংবিধানিক বাধ্য-বাধকতা রক্ষা করা হয়েছে। অনেকটা নিয়মরক্ষার জন্য সংসদীয় কার্যক্রম চলেছে।

সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তারা জানান, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সংসদে পাস হওয়া সব থেকে আলোচিত বিল হলো মৃত্যুদন্ডের বিধান যুক্ত করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন পাস। দেশজুড়ে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনবিরোধী আন্দোলনের মুখে আইনটি সংশোধনের পদক্ষেপ নেয় সরকার। এছাড়া আকাশ পথে পরিবহন (মন্ট্রিল কনভেনশন) বিল, সামুদ্রিক মৎস্য (মেরিন ফিসারিজ) এবং মৎস্য ও মৎস্যপণ্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ বিল, কোম্পানি বিধি সংশোধন বিল, এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) বিল, একক ব্যক্তির কোম্পানি খোলার সুযোগ রেখে কোম্পানি (দ্বিতীয় সংশোধন) বিল, ভার্চুয়ালি আদালত পরিচালনায় আদালত কর্তৃক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার বিলসহ জনগুরুত্বপূর্ণ বেশকিছু বিল পাস হয়েছে।

এছাড়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জš§শতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’ উপলক্ষে সংসদের বিশেষ অধিবেশন স্বাস্থ্য সতর্কতা মেনে গত ৮ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে চলে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত। প্রথম দিনে অধিবেশন কক্ষে আসন নিয়েই উপস্থিত সকলকে স্বাগত জানিয়ে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এই বিশেষ অধিবেশন। এসময় তিনি কবি শামসুর রাহমানের ‘ধন্য সেই পুরুষ’ কবিতার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘ধন্য সেই পুরুষ, নদীর সাঁতার পানি থেকে যে উঠে আসে/ সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে;—জীবিতের চেয়েও অধিক জীবিত তুমি।’ বিশেষ অধিবেশনের মূল কার্যক্রম শুরু হয় গত ৯ নভেম্বর। ওইদিন বঙ্গবন্ধুর উপর স্মারক বক্তৃতা করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এরআগে অধিবেশনের শুরুতে১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ভাষণ অধিবেশন কক্ষে দেখানো হয়। অধিবেশনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কর্মময় ও বর্ণাঢ্য জীবনের উপর সাধারণ আলোচনা শেষে সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তাব গৃহীত হয়। সংসদের কার্যপ্রণালি-বিধির ১৪৭-এর আওতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন। এটি নিয়ে টানা ৫ দিন আলোচনা করেন সরকার ও বিরোধীদলীয় সদস্যরা। অধিবেশন উপলক্ষে সংসদ ভবনকে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়। এরআগে রাষ্ট্রপতি ২২ মার্চ থেকে বিশেষ অধিবেশন আহ্বান করলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে তা স্থগিত করা হয়।

সাবেক ও বর্তমান সংসদ সদস্যদের মৃত্যুর পর সংসদ ভবন চত্বরে জানাজার রেওয়াজ রয়েছে। জানাজার পাশাপাশি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য প্রয়াতদের মরদেহ সংসদ ভবনের দক্ষিণপ্লাজায় আনা হয়। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর থেকে মারা যাওয়া কোনো সংসদ সদস্যের সংসদ ভবন চত্বরে জানাজা হয়নি। করোনা সংক্রমণসহ নানা কারণে ২০২০ সালে ৮ জন সংসদ সদস্য মারা গেছেন। আগের বছর মারা যান আরো ৭ জন। এনিয়ে চলতি সংসদের ১৫ জন সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। আগের সংসদের ৫ বছরে ১৬ জন সদস্যের মৃত্যু হয়।

সংসদ সচিবালয়ের তথানুযায়ী, গত বছরের ১০ জানুয়ারি সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোজাম্মেল হোসেন (বাগেরহাট-৪), ১৮ জানুয়ারি আব্দুল মান্নান (বগুড়া-১), ২১ জানুয়ারি ইসমাত আরা সাদেক (যশোর-৬), ২ এপ্রিল সাবেক ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ (পাবনা-৪), ৬ মে হাবিবুর রহমান মোল্লা (ঢাকা-৫), ১৩ জুন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম (সিরাজগঞ্জ-১), ১০ জুলাই সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন (ঢাকা-১৮) ও ২৭ জুলাই ইসরাফিল আলম (নওগাঁ-৬) মারা যান। একই বছরের ১৪ জুন করোনা আক্রান্ত হয়ে ধর্মপ্রতিমন্ত্রী শেখ আব্দুল্লাহ মারা যান। এছাড়া চলতি সংসদের প্রথম বছরে যারা যান বিরোধী দলীয় নেতা এইচ এম এরশাদ, সরকার দলীয় এমপি সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, জাসদের মইন উদ্দীন খান বাদল, ডা. ইউনুস আলী সরকার, ডা. মোজাম্মেল হোসেন, আব্দুল মান্নান ও ইসমত আরা সাদেক।

বৈশ্বিক মহামারি করোনা সংক্রমণের কারণে সংসদীয় কার্যক্রমে স্থবিতরতা থাকলেও ১১টি সংসদীয় আসনে উপনির্বাচন হয়েছে। এরমধ্যে সংশ্লিষ্ট আসনের সংসদ সদস্য মারা যাওয়ায় ১০টিতে এবং একটিতে সংসদ সদস্য পদত্যাগ করায় উপনির্বাচন হয়েছে। করোনা ঝুঁকি নিয়েই ৯টি আসনের উপনির্বাচন হয়েছে। ওই সকল নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিলো নামমাত্র। নিকট অতীতে একই বছরে এতো আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠানের রেকর্ড নেই।

সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে শুন্য হওয়া সিরাজগঞ্জ-১ আসনে ভোট গ্রহণ হয় গত ১২ নভেম্বর। একইদিনে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনের মৃত্যুর কারণে ঢাকা-১৮ আসনে উপনির্বাচন হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মো. ইসরাফিল আলম মারা যাওয়ায় নওগাঁ-৬ আসনে ১৭ অক্টোবর উপনির্বাচন হয়। একই দিনে হাবিবুর রহমান মোল্লা মৃত্যুর কারণে শুন্য ঢাকা-৫ আসনে ভোটগ্রহণ হয়। সাবেক মন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলু মারা যাওয়ায় পাবনা-৪ আসনে উপনির্বাচন হয় ২৬ সেপ্টেম্বর।ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস পদত্যাগ করায় ওই আসনে উপনির্বাচন হয়েছে ২১ মার্চ। একইদিনে এমপি মোজাম্মেল হোসেন মারা যাওয়ায় শুন্য হওয়া বাগেরহাট-৪ আসনে উপনির্বাচন হয়েছে। বগুড়া-১ আসনের আবদুল মান্নান ও যশোর-৬ আসনের ইসমাত আরা সাদেক মারা যাওয়ায় আসন দু’টিতে ১৪ জুলাই ভোটগ্রহণ হয়। ইউনূস আলী সরকার মারা যাওয়ায় গাইবান্ধা-৩ আসনে উপনির্বাচন হয় গত বছরের ২৭ জানুয়ারি। গত বছরের প্রথম উপনির্বাচন হয় ১৩ জানুয়ারি। ওইদিন জাসদের সংসদ সদস্য মঈন উদ্দীন খান বাদল মারা যাওয়ায় শুন্য হওয়া চট্টগ্রাম-৮ আসনে ভোটগ্রহণ করা হয়।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, কথা কথায় সংসদ বর্জন-এই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে সকল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে একাদশ সংসদ। জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ও জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে সংসদে আলোচনা হয়েছে। যে কারণে বর্তমান সংসদ পরিপূর্ণ ও প্রাণবন্ত সংসদ। স্পিকার বলেন, বিরোধী দলীয় সদস্যরা যখন খুশী, যে কোন ইস্যুতে কথা বলতে পারছেন। তারা প্রশ্নোত্তরে অংশ নিচ্ছেন। জরুরী জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নোটিশ দিচ্ছেন। বাজেট আলোচনা ও রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর সাধারণ আলোচনায় পর্যাপ্ত সময় পাচ্ছেন। পয়েন্ট অব অর্ডারেও বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলছেন। আলোচনায় কোন বাধা নেই।
দুই বছরের মূল্যায়ন প্রসঙ্গে বিরোধী দলীয় উপ-নেতা জি এম কাদের বলেন, সংসদে বিরোধী দলের যে ভূমিকা পালন করার কথা তা জাতীয় পার্টি পালন করছে। কিন্তুু কার্যকর করার জন্য যা দরকার তা হলো সংবিধান অনুযায়ী সরকারের সদিচ্ছা। আমরা দাবি দাওয়া গুলো সংসদে তুলে ধরছি কিন্তুু এটা মানবে কিনা তা নির্ভর করে সরকারের সদিচ্ছার ওপর। সংসদ এখন প্রাণবন্ত আছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিরোধী দল বিভিন্ন ইস্যু গুলো সংসদে তুলে ধরছে।

 

 

Print Friendly, PDF & Email