নিজস্ব প্রতিবেদক
জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, করোনাভাইরাস মহামারিকালে টিকা প্রয়োগ করে বিভিন্ন দেশ যখন স্বাভাবিক জীবন-যাপনের দিকে যাচ্ছে, তখন বাংলাদেশের পরিস্থিতি অনিশ্চয়তার দিকে যাচ্ছে। অথচ নিশ্চিতভাবে কবে কোথা থেকে আসবে সেই তথ্য পাচ্ছি না। সরকারের এই বিষয়টি স্পষ্ট করা প্রয়োজন।
সোমবার জাতীয় সংসদে ২০২০-২০২১ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে তিনি বলেন, স্বাস্থ্য খাতে প্রস্তাবিত বাজেটে বরাদ্দ জিডিপির শূন্য দশমিক ৮৩ শতাংশ। এটা ৪ থেকে ৫ শতাংশ দেওয়া উচিত ছিল। করোনা মহামারির কারণে বরাদ্দ বাড়ানো উচিত। কমপক্ষে তা জিডিপির ২ শতাংশ হতে হবে। করোনা নিয়ন্ত্রণ এলে অর্থনীতি চাঙা হবে। তাই স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল করতে হবে। কিন্তু এটাকে অবহেলা করা হচ্ছে।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, স্বাস্থ্য খাতে যে মঞ্জুরি দেওয়া হচ্ছে, বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে জানা যাচ্ছে, এই অর্থের অপচয় হচ্ছে। যাদের ধরা হয়েছে, মামলা হয়েছে, কোনো শাস্তি পেয়েছে এমনটা দেখা যায় না। কোনো না কোনো ফাঁক দিয়ে তারা বের হয়ে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, যাঁরা পুকুরচুরি করছেন, তারা বেরিয়ে যাচ্ছেন। আর যারা এসব প্রকাশ করছেন, তারা নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।
বিরোধী দলীয় উপনেতা বলেন, অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা জবাবদিহি নিশ্চিত করতে কাজ করে। অথচ তাদের নানা ভাবে হেনস্তা করা হচ্ছে। কিছুদিন আগে একজন সাংবাদিককে বিভিন্নভাবে হেনস্তা করা হয়েছে। গলা টিপে ধরা হয়েছে। তার নামে মামলা দেওয়া হয়েছে। গুজব ছড়াচ্ছে তার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহী মামলা হতে পারে। বিশাল শাস্তি হতে পারে।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, আমরা চাই আইনের শাসন থাকুক। কেউ অপরাধ করলে শাস্তি হোক। কিন্তু যারা গণমাধ্যমে কাজ করেন, তাদের কিছু দায়িত্ব থাকে। সাংবাদিকতা পিলার অব দ্য স্টেট। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা জবাবদিহি নিশ্চিত করতে কাজ করে। সেখানে সাংবাদিকদের এইটুকু সুযোগ দেওয়া সমাজের দায়িত্ব।
সম্পূরক বাজেট প্রসঙ্গে জি এম কাদের বলেন, বাজেটের চেয়ে কম খরচ হওয়া যেমন অস্বাভাবিক, তেমনি বেশি খরচও অস্বাভাবিক। এই অস্বাভাবিক বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করে তার কারণগুলো চিহ্নিত করে সমাধান করা দরকার। বাজেট যথাযথভাবে বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।