শোক দিবসের অনুষ্ঠানের জন্য বেতন কাটার পরও দাওয়াত না পাওয়ায় ক্ষুব্দ গণপূর্তের ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠান আয়োজনের উদ্দেশ্যে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রকৌশলী ও কর্মকর্তাদের এক দিনের বেতন কেটে নেয়ার পরও অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেওয়া হয়নি ডিপ্লোমা প্রকৌশলী ও কর্মচারিদের। এমনকি পিডব্লিউডি ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতি, পিডব্লিউডি বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতি এবং পিডব্লিউডি কর্মচারি ইউনিয়নের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদককেও অনুষ্ঠানে আমন্ত্রন জানানো হয়নি গত ৩১ আগস্ট অনুষ্ঠিত শোক দিবসের অনুষ্ঠানে। এনিয়ে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে ডিপ্লোমা প্রকৌশলী ও কর্মচারিদের মধ্যে।

সংশি¬ষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় শোক দিবস পালনের নির্দেশনা দিয়ে গণপূর্ত অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলীকে মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পাঠানোর পর দিবসটি উদযাপন উপলক্ষ্যে একটি কমিটি গঠণ করে দেয়া হয়। ওই কমিটি গণপূর্তের বিভাগগুলো ছাড়াও সব জোন, সার্কেল ও প্রধান প্রকৌশলী কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের এক দিনের বেতন সংগ্রহ করে এবং সামগ্রিক আর্থিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করে। অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও নির্বাহী প্রকৌশলী পদমর্যাদার ১২ জন কর্মকর্তার সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় শোক দিবস পালনের অর্থ ব্যবস্থাপনা কমিটি বেতন থেকে টাকা কেটে রাখার বিষয়টি তদারকি করেন। আর এ কার্যক্রমের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালণ করেন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো.শহিদুল আলম।

একাধিক কর্মকর্তা জানান, কর্মচারি ইউনিয়ন জাতীয় শ্রমিক লীগের অন্তর্ভুক্ত একটি সংগঠন এবং বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অনুসারী সংগঠন । অথচ তাদেরকে বাদ দিয়ে জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠান করা হয়েছে। তারা জানান, অনুষ্ঠান ছিল গণপূর্ত অধিদপ্তরের। অথচ অনুষ্ঠানে শুধুমাত্র ডিগ্রি ইঞ্জিনিয়ারদের দাওয়াত দেওয়া হয়েছে।

গণপূর্ত মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির একজন সদস্য জানান, মন্ত্রণালয় থেকে জাতীয় শোক দিবস পালণ করতে বলা হলেও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন কেটে অর্থ সংগ্রহের বিষয়ে কোনো নির্দেশনা ছিলো না। অর্থ ব্যবস্থাপনা কমিটি অতি উৎসাহী হয়ে এই কাজটি করেছে। যা সমীচিন হয়নি। বিষয়টি সম্পর্কে তাদের কাছে জানতে চাওয়া হবে।

তবে গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী শামীম আক্তার এরইমধ্যে বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, অনেক কর্মকর্তা নিজ উদ্যোগেই শোক দিবসের আয়োজনে অংশ নিতে কন্ট্রিবিউট করেছেন। কারো বেতন কাটা হয়নি দাবি করে তিনি বলেন, প্রচলিত নিয়মে এভাবে বেতন কাটার কোনো সুযোগই নেই। কেউ কেউ নিজের ইচ্ছায় হয়তো এটি দিয়েছেন।

Print Friendly, PDF & Email