সংসদ প্রতিবেদক:
১২ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী ছাত্রছাত্রীদের করোনাভাইরাসের টিকার আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে ৫০ শতাংশ মানুষের টিকা দেওয়া এবং পর্যায়ক্রমে দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনার অংশ হিসেবে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। বুধবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে তিনি এ পরিকল্পনার কথা সংসদকে জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রণালয়ের দেওয়া প্রতিবন্ধীদের সুবর্ণ কার্ডের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা, অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে শ্রমিকদের টিকা প্রদান করা হবে। তিনি বলেন, সরকারের পদক্ষেপে ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২৪ কোটি ৬৫ লাখ ১৩ হাজার ৬৬০ ডোজ টিকা সংগ্রহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় চুক্তির আওতায় ৪ কোটি ৪৪ লাখ ৩১ হাজার ৮৮০ ডোজ টিকা পাওয়া গেছে। মাসে যাতে এক কোটি ডোজ বা তার বেশি টিকা পাওয়া যায়, সেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আগামী অক্টোবর থেকে মাসে দুই কোটি হিসেবে ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ছয় কোটি টিকা পাওয়া যাবে সিনোফার্ম থেকে।
প্রধানমন্ত্রী সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, করোনা সংক্রমণ এখনো চলমান। আশা করি, সকলের সহযোগিতায় চলমান এই বৈশ্বিক মহামারিকে সফলভাবে মোকাবিলা করতে সক্ষম হবো। পরিস্থিতি আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে। এজন্য টিকা গ্রহণের পাশাপাশি সবাইকে নির্ধারিত স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।
দেশে দ্রুত করোনার ভ্যাকসিন তৈরি হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এদিকে দেশে অতি দ্রুত করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরি করা হবে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বুধবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে আইন প্রণয়নের সময় দেওয়া বক্তব্যে তিনি জানান, ইতোমধ্যে দেশে আড়াই কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। আমরা শুধু ভ্যাকসিন আনছি না, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেশে করোনার ভ্যাকসিন তৈরি করতে। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। অতি দ্রুত দেশে ভ্যাকসিন তৈরি করা হবে। ইতোমধ্যে আড়াই কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। দেড় কোটি মানুষকে ডাবল ডোজ দেয়া হয়ে গেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমি সমালোচনা পছন্দ করি। কারণ এটা আমাকে শক্তিশালী করে। এই সমালোচনা অবশ্যই সঠিক হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, চীন থেকে ৬ কোটি ডোজ টিকার নিশ্চয়তা পাওয়ার পর দেখলাম, এই টিকা আনতে দুই থেকে তিন হাজার কোটি টাকা দরকার। আমি প্রধানমন্ত্রীকে বললাম, আমরা ৬ কোটি ডোজ টিকা আনতে পারি কিন্তু এই পরিমাণ টাকা লাগবে। প্রধানমন্ত্রী বললেন, টাকা যত লাগুক টিকা নিয়ে আস। আমরা কোভ্যাক্স থেকে ৫ কোটি টিকা পাব। সব মিলিয়ে ১৬ কোটি ভ্যাকসিনের অর্ডার আছে।