লুই আইকানের নকশার আলোকে সাজানো হচ্ছে সংসদ ভবন

রফিকুল ইসলাম সবুজ:
লুই আই কানের মূল নকশা অনুসরণ করে সংস্কারের পাশাপাশি সাজানো হচ্ছে পুরো সংসদ ভবনকে। ইতিমধ্যে নকশা বহির্ভূত ভাবে নির্মিত সংসদ ভবনের ভেতরের কাঠের তৈরি বিভিন্ন কক্ষ সরিয়ে ফেলা হয়েছে। নকশা বহির্ভুত ভাবে নির্মিত অধিকাংশ স্থাপনাই ইতিমধ্যে সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলে জানিয়েছে গণপূর্ত বিভাগ। মূল নকশার আলোকে সংসদ ভবনের ভেতরে ও বাইরে সংস্কারের কাজ পুরোপুরি শেষ হলে আরো আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে জাতীয় সংসদ ভবন।

বিশ্ববিখ্যাত স্থপতি লুই আই কানের অনন্য নকশায় নির্মিত আধুনিক যুগের স্থাপত্য রীতির সর্বোৎকৃষ্ট নিদর্শন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ভবনের অসাধারণ স্থাপত্যের জন্য বাঙ্গালী জাতি গর্বিত। পিরামিডের সময় থেকে আধুনিক যুগ পর্যন্ত ব্যাপ্ত স্থাপত্যসমূহের যদি একটি বাছাই তালিকা করা হয় তবে তাঁর মাঝেও বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ভবন উপরের সারিতেই স্থান পাবে। কিন্তুু নির্মাণের পর থেকে দীর্ঘদিন বড় ধরনের কোন সংস্কার কাজ না হওয়ায় ধীরে ধীরে এর জৌলুস হারাতে বসেছিল। অন্যদিকে লুই কানের নকশা অমান্য করে বিভিন্ন সময় সংসদের ভেতরে ও বাইরে স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছিল। বিশেষ করে সংসদের ভবনের ভেতরে আলো-বাতাস ঢোকার পথ বন্ধ করে তৈরি করা হয়েছিল কক্ষ। সংসদ সচিব, বিভিন্ন সংসদীয় কমিটির সভাপতিদের একান্ত সচিবসহ কর্মকর্তাদের এসব কক্ষ তৈরি হয়েছিল, যা মূল নকশায় ছিল না। বিষয়টি অনুধাবন করতে পেরে বর্তমান সরকার মূল নকশার আলোকে এটি সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করে। সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তারা জানান, নকশা বহির্ভুত কাঠের তৈরি কক্ষগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, ২৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে জাতীয় সংসদ ভবন, সংসদ সদস্য ভবন ও এমপি হোস্টেলসহ আনুসঙ্গিক স্থাপনা নির্মাণ ও আধুনিকায়ন প্রকল্পের কাজ ৭০ ভাগ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। প্রকল্পটি ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে শুরু হয়েছে যার মেয়াদ ২০২৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত। এ প্রকল্পের মাধ্যমে সংসদ সদস্য ভবন-২, ৩, ৪, ৫ ও ৬ এর আধুনিকীকরণ পূর্ত ও ই/এম কাজ (টাইলস পরিবর্তন, কেবিনেট, এলইডি, ইন্টারকম ও অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জা) করা হয়েছে। সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রীর লবি আধুনিকায়ণ করা হয়েছে। এখন লবি থেকে সংসদ লেক যাতে দেখা যায় সে ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী লবি থেকেই সংসদ লেকের পাড়ে গিয়ে দাড়াতে পারবেন। এমপি হোস্টেলের এলডি-২ (কমিউনিটি সেন্টার) ও এলডি-৩ (পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাব) এর আধুনিকায়ণ করা হয়েছে। সংসদ ভবন এলাকায় মনিপুরি পাড়াস্থ খেজুর বাগান সংলগ্ন গণপূর্ত কর্মচারি ও জাতীয় সংসদ ভবনের নিরাপত্তারক্ষীদের জন্য নয়তলা দুটি ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। আগামী বছরের জুনে প্রকল্পের ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হবে। সংস্লিস্টরা জানান, এলডি হল গুলোতে এসি ও লিফট সংযোজন করায় লোড বৃদ্ধির কারনে উক্ত এলাকায় ২৫০ কেভিএ সাবষ্টেশনের পরিবর্তে নতুন ৫০০ কেভিএ সাব ষ্টেশন এবং ২৫০ কেভিএ জেনারেটর স্থাপন করা হয়েছে।

সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তারা জানান, সংসদ ভবনের উত্তর প্লাজায় যে ৫২ হাজার স্কয়ার ফিট জায়গা রয়েছে সেখানে ৩৬ হাজার স্কয়ার ফিট জায়গায় অফিস কক্ষ নির্মাণ করা হচ্ছে। এসংক্রান্ত বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ভবনের উত্তর প্লাজাকে অফিসে রুপান্তর প্রকল্পটি ইতিমধ্যে অনুমোদন হয়েছে। সংসদ কমিশনের ৩১তম সভায় চিফ হুইপ উত্তর প্লাজায় প্রয়োজনীয় রেনভেশনের মাধ্যমে কর্পোরেট অফিসের আদলে সংসদ সচিবালয়ের অফিস স্পেস করার প্রস্তাব করলে প্রধানমন্ত্রী ও কমিশনের অন্য সদস্যরা একমত পোষন করেন।
কর্মকর্তারা জানান, সংসদ সচিবালয়ে অনেক কর্মকর্তা কর্মচারি কাজ করার কারনে প্রয়োজনের তুলনায় অফিসের জায়গা অপ্রতুল। তাৎক্ষনিক সমাধানের জন্য স্বল্পপরিসরে পার্টিশান দিয়ে কিছু অফিস স্পেস তৈরি করা হয়েছে যা সংসদ ভবনের সৌন্দর্য বিনষ্ট করছে। সংসদ সচিবালয়ে ১৯৮৪ সালে ৪২৭ জন স্টাফসহ দুটি শাখায় কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে ৭টি শাখায় ১৩২১ জন কর্মরত। তাই উত্তর প্লাজার নিচে সুপরিসর জায়গা অফিসে রুপান্তরের মাধ্যমে সংসদ সচিবালয়ের অপ্রতুল অফিস স্পেসের একটি ভাল সমাধান হবে বলে জানিয়েছেন সংসদের কর্মকর্তারা। সংস্লিস্ট কর্মকর্তারা জানান, ১৯৮৪ সালে উত্তর প্লাজা নির্মিত হওয়ায় দীর্ঘদিন ব্যবহার জনিত কারনে রেড ব্রীকের স্থায়ীত্ব নষ্ট হয়ে গেছে ফলে বৃষ্টি হলেই ব্রীক সারফেস ও জয়েন্ট সমুহে শ্যাওলা ও ঘাস জন্মায়। একারনে উত্তর ও দক্ষিণ প্লাজার উপরিতলে বিদ্যমান পুরাতন সিরামিক ব্রীক ও মার্বেল পাথর সম্পুর্ণরুপে অপসারণ করে কংক্রিট ছাদের উপরিভাগে পানি নিরোধী কটিং স্থাপন করে লুই আই কানের নক্সা অনুযায়ী বর্তমান সংসদ ভবনের স্থাপত্য শৈলী ও নান্দনিকতার সাথে সামঞ্জস্য রেখে একই রং এবং আকৃতির নতুন সিরামিক ব্রীক এবং মার্বেল পাথর যথাস্থানে প্রতিস্থাপন করা হবে। এ প্রকল্পের অধিনে এছাড়া সংসদ ভবনের বিভিন্ন প্রবেশ গেটে অভ্যর্থনা কক্ষসহ সেন্ট্রি পোস্ট নির্মাণ, সংসদ সদস্য ভবন-২, ৩ ও ৪ এ কার পার্কিং শেড নির্মাণ, সংসদ সদস্য ভবন-৪, ৫ ও ৬ এর ফার্নিচার সরবরাহ এবং উত্তর প্লাজার নিচে সংসদ ভবনের বিভিন্ন শাখার অফিস কক্ষ নির্মাণে বৈদ্যুতিক নবায়ন কাজের আওতায় বৈদ্যুতিক ফিটিংস স্থাপন করা হবে।

কর্মকর্তারা জানান, এলডি-৩ ‘পার্লামেন্ট মেম্বার্স ক্লাব’, এলডি-২ ‘কমিউনিটি সেন্টার’ এবং এলডি-১ মেডিকেল সেন্টার ও সংসদ টিভির স্টুডিও হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ‘পার্লামেন্ট মেম্বার্স ক্লাব’, এলডি- ‘কমিউনিটি সেন্টার’ এবং মেডিকেল সেন্টার ও সংসদ টিভির স্টুডিওতে জাতীয় সংসদের স্পিকার, মন্ত্রী, সংসদ সদস্যসহ ভিআইপিগণ কর্মসুচিতে অংশ গ্রহণ করেন। ৩৪ বছর আগে নির্মিত এলডি হল গুলো বিভিন্ন সময়ে ছোটখাট মেরামত হলেও বড় ধরনের সংস্কার হয়নি। একারনে পার্লামেন্ট মেম্বার্স ক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটি হলগুলো আধুনিকায়ণের ওপর গুরুত্বারোপ করায় তা বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

গণপূর্ত অধিদপ্তরের ঢাকা সার্কেল-৩ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. রোকন উদ্দিন জানান, মাননীয় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন ও মাননীয় চিফ হুইপ নুর ই আলম চৌধুরীর দিক নির্দেশনায় সংসদ ভবনের ভেতরে ও বাইরে নকশা অনুযায়ী সংস্কার কাজ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে সংসদের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। আমরা তা ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করছি। জাতীয় সংসদ আমাদের দেশের প্রধান স্থাপনা হিসেবে এর সৌন্দর্য বৃদ্ধি এবং এর সার্ভিস টিকিয়ে রাখার জন্য এই সংস্কার কাজ খুবই প্রয়োজন ছিল। তিনি বলেন, মাননীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ ও সচিব শহীদ উল্লা খন্দকারসহ অধিদপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তারাও গুরুত্বপূর্ন এ সংস্কার কাজ যাতে সঠিক ভাবে হয় সে বিষয়ে দিক নির্দেশনা প্রদান করেছেন।

সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তারা জানান, ইতিমধ্যে পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাবের নবনির্মিত অত্যাধুনিক ক্যান্টিনের উদ্বোধন করা হয়েছে। গত ১ সেপ্টেম্বর পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাবের নবনির্মিত ক্যান্টিনের উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ ও পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাবের সভাপতি নূর-ই-আলম চৌধুরী। এ সময় পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম ও মাহবুব আরা বেগম গিনি, পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এ বি তাজুল ইসলাম, সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদী, এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, নাহিম রাজ্জাক, শফিকুল ইসলাম শিমুল ও নাহিদ ইজাহার খান উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত ৩০ জুলাই সংস্কারকৃত আধুনিক পার্লামেন্ট মেম্বার্স ক্লাবের উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এসময় স্পিকার বলেন, সব সংসদ সদস্য ও নির্বাচনী এলাকার জনগণের জন্য পার্লামেন্ট মেম্বার্স ক্লাব একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। বাংলাদেশের সব ক্লাবের চেয়ে পার্লামেন্ট মেম্বার্স ক্লাব সবদিক থেকে অনন্য। সবার অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে ভবিষ্যতে ক্লাবটি প্রাণবন্ত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন স্পিকার। স্পিকার বলেন, যথাযথ আধুনিকায়নের মাধ্যমে পার্লামেন্ট মেম্বার্স ক্লাবকে তৈরি করা হয়েছে। এ সময় তিনি সংসদ সদসদের বিভিন্ন প্রয়োজনে ক্লাবটি ব্যবহারের আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ ও পার্লামেন্ট মেম্বার্স ক্লাবের সভাপতি নূর-ই-আলম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এবি তাজুল ইসলাম, সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, কাজী ফিরোজ রশীদ বক্তব্য রাখেন।
জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী জানান, স্থপতি লুই আই কানের মূল নকশার আলোকে পুরো জাতীয় সংসদ ভবনকে সাজানোর কাজ চলছে। মূল নকশার আলোকে সাজানোর পাশাপাশি সংসদ ভবনের পরিবেশ উন্নয়নে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। চিফ হুইপ বলেন, জাতীয় সংসদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাব। সম্প্রতি এই ক্লাবের পরিবেশকে মানসম্মত করতে আধুনিকায়ন করা হয়েছে। আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে বৈদ্যুতিক জেনারেটর স্থাপন, নিরাপত্তার স্বার্থে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং ব্যবস্থা উন্নতকরণ, পাবলিক এ্যাড্রেস কনফারেন্স সিস্টেম স্থাপন, জিমনেসিয়ামের আধুনিকায়ন এবং পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাবের ভেরিএ্যাবল রেফ্রিজারেটর ফ্লো (ভিআরএফ) এসি স্থাপন করা হয়েছে।

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, জাতীয় সংসদ ভবনের স্থাপত্যশৈলী আকর্ষণীয় ও দৃষ্টিনন্দিত। সংসদকে লুই আই কানের নকশা অনুযায়ী সাজানোর বিষয়টি চুড়ান্ত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনা অনুযায়ী একাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ১৯৮২ সালের ২৮ জানুয়ারি নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর একই বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সংসদের অষ্টম ও শেষ অধিবেশনে প্রথম সংসদ ভবন ব্যবহƒত হয়। তখন থেকেই আইন প্রণয়ন এবং রাষ্ট্র পরিচালনার মূল কেন্দ্র হিসাবে এই ভবন ব্যবহƒত হয়ে আসছে।

সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের জন্য হচ্ছে ১১২টি ফ্ল্যাট: সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের জন্য রাজধানীর আগারগাঁও এ ১১২টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে। ইতিমধ্যে এবিষয়ে প্রকল্পটি প্রি একনেকে অনুমোদিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্লিষ্ট কর্মকর্তারা। খুব শিগগিরই এটি একনেক এর বৈঠকে অনুমোদনের জন্য উত্থাপিত হবে। গণপূর্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, প্রধানমন্ত্রী সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারিদের আবাসন সুবিধা ৮ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪০ শতাংশ করার অনুশাসন প্রদান করেছেন। বর্তমানে সংসদ সচিবালয়ের নিজস্ব জনবল এক হাজারেরও বেশি। এর মধ্যে মাত্র ৩১৯ জনের সরকারি আবাসনের সুবিধা রয়েছে। অবশিষ্ট স্টাফদের জন্য প্রকল্পের আওতায় ১৫ তলা দুটি ভবন নির্মাণ করা হবে যাতে ১ টিতে ১২৫০ বর্গ ফুট এবং ১টিতে ১০০গ বর্গ ফুট ১১২ টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *