শেখ রাসেল নিজের খেলনা সামগ্রী বন্ধুদের মধ্যে বিতরণ করতে খুব পছন্দ করত: স্পিকার

নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বাল্যকাল থেকে শেখ রাসেল ক্রীড়াপ্রেমী ছিল। বাল্যকালে সে তার খেলনা সামগ্রী বন্ধুদের মধ্যে বিতরণ করতে খুব পছন্দ করত। বঙ্গবন্ধুর এই গুণটি শিশু রাসেল ছোটবেলা থেকেই পেয়েছিল। সোমবার জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের উদ্যোগে ‘শেখ রাসেল দিবস ২০২১’ উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে স্পিকার এসব কথা বলেন।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতার সর্বকনিষ্ঠ সন্তান শিশু শেখ রাসেলের কোন অপরাধ ছিল না, নিষ্পাপ শিশু ছিল সে। শিশু রাসেল আজ বেঁচে থাকলে পরিবারের ঐতিহ্যকে ধারণ করে দেশ ও জাতির সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতো। দুঃখের বিষয় সে সুযোগ জাতি পেল না। বাংলাদেশের কোন শিশু যেন অমানবিক আচরণ ও এরূপ হত্যাকাণ্ডের শিকার না হয় এই ব্রত সকলকে ধারণ করতে হবে।

আলোচনার আগে সংসদ সচিবালয় মসজিদে শিশু শেখ রাসেলসহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের শহীদগণের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া-মাহফিল ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো এমন প্রশংসনীয় উদ্যোগ ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন স্পিকার।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাল্যকাল থেকে শেখ রাসেল ক্রীড়াপ্রেমী ছিল। বাল্যকালে সে তার খেলনা সামগ্রী বন্ধুদের মধ্যে বিতরণ করতে খুব পছন্দ করত। বঙ্গবন্ধুর এই গুণটি শিশু রাসেল ছোটবেলা থেকেই পেয়েছিল। এই শিশু রাসেল হত্যার বিচার করতে আমাদের অনেক সময় লেগে গেলেও বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পাশাপাশি তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের হত্যার বিচারকার্য আমরা সম্পন্ন করতে পেরেছি। ঘাতকদের অনেককেই শাস্তি দেওয়া সম্ভব হয়েছে।

স্পিকার বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার শিশুদের সকল প্রকার সুবিধা নিশ্চিত করতে অত্যন্ত সচেতন। শিশুর মৌলিক চাহিদা থেকে শুরু করে সুস্থ মানুষ হিসেবে মানবিক গুণাবলি বিকশিত হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সকল কিছু নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করছে। শিশুদের বেড়ে ওঠার জন্য ভালোবাসাপূর্ণ মানবিক পরিবেশ নিশ্চিতের মাধ্যমে শিশু শেখ রাসেলের প্রতি সকলের আবেগ ও ভালোবাসা পূর্ণতা পাবে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে ডেপুটি স্পিকার এডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, শেখ রাসেলের হত্যা ইতিহাসের ন্যাক্কারজনক ঘটনা। এসময় শিশু রাসেল সহ বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের পলাতক হত্যাকারীদের ফিরিয়ে এনে শাস্তি নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তিনি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে হুইপ ইকবালুর রহিম বলেন, শেখ রাসেল হত্যাকান্ড ইতিহাসের সহিংস, বর্বর, পৈশাচিক ও বেদনাদায়ক একটি ঘটনা। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের কাল রাত্রিতে শেখ রাসেলের মতন ছোট শিশু রক্ষা পায়নি। শিশু রাসেল ছিল ফুলের মত নিষ্পাপ।

সংসদ সচিবালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে এবং পরিচালক মোঃ তারিক মাহমুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও সংসদ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ফোরামের সভাপতি উপসচিব এ কে এম জি কিবরিয়া মজুমদার সূচনা বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *