নিজস্ব প্রতিবেদক:
পদ্মা আড়িয়াল খা নদসহ অসংখ্য নদ নদী খাল বিল সমৃদ্ধ শিবচর উপজেলা এখন দেশের উন্নত উপজেলার মধ্যে অন্যতম। বিশেষ করে পদ্মা সেতুকে ঘিরে ঢাকার নিকটবর্তী এ উপজেলায় শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে কয়েকটি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নসহ ব্যাপক উন্নয়ন কর্মসুচিতে পাল্টে গেছে শিবচরের চিত্র। এরইমধ্যে বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের আইসিটি ইনষ্টিটিউটের কার্যক্রম শুরু হয়েছে দত্তপড়ায় ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী কলেজে। এলাকাবাসীর মতে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিগাঁথা আধুনিক শিবচরের রূপকার হলেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ ও মাদারীপুর-১ (শিবচর) আসনের ছয় বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন। তিনি শুধু যে শিবচরের উন্নয়নে কাজ করেছেন তেমন টা নয়, জাতীয় সংসদ ভবনের ভেতর ও বাইরে স্থপতি লুই আই কানের নকশা মেনে উন্নয়ন কাজের মাধ্যমে সংসদ ভবনের সৌন্দর্যও বাড়িয়ে দিয়েছেন। সংসদ ভবনের সৌন্দর্য বাড়াতে নিয়েছেন নানান পদক্ষেপ। উন্নয়নমুলক কাজে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তিনি।
মাদারীপুর-১-(শিবচর) আসনের ৬ বারের সংসদ সদস্য নূর-ই-আলম চৌধুরী চিফ হুইপ এর পাশাপাশি আওয়ামীলীগের সংসদীয় দলের বর্তমান সম্পাদক। তিনি বঙ্গবন্ধুর বড় ভাগ্নে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক মরহুম ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরীর বড় ছেলে। নবম জাতীয় সংসদের হুইপ ও নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং দশম জাতীয় সংসদের অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছিলেন। সম্ভ্রান্ত রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। পদ্মা আড়িয়ালখা নদসহ অসংখ্য খাল বিল জলাশয়সমৃদ্ধ এক সময়ের প্রত্যন্ত শিবচর উপজেলাকে মুক্তিযুদ্ধময় আবহে পরিকল্পিত উন্নয়নে দেশ সেরা আধুনিক উপজেলা গড়ার কারিগর তিনি। শিবচরের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে শুরু করে সকল স্থানেই ছোঁয়া পেয়েছে উন্নয়নের। আর এই উন্নয়নের কারণেই তিনি একজন অপ্রতিদ্বন্দ্বী সংসদ সদস্যের মর্যাদা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। একারনে একাদশ সংসদ নির্বাচনেও তিনি বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় বোনের বাড়ি মাদারীপুরের শিবচরের দত্তপাড়ায়। এ কারণে এই এলাকায় বঙ্গবন্ধুর বিচরণ ছিল। বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি ছিলেন অন্যতম সংগঠক ও মুজিব বাহিনীর কোষাধ্যক্ষ। ১৯৭৩ সালে তিনি আবারো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ঢাকা-মাওয়া-শিবচর-খুলনা মহাসড়কটিও ছিল সংসদে তার প্রস্তাবিত। নারী শিক্ষার উন্নয়নে তার ভূমিকা আজো সমাদৃত। এরপর ১৯৯১ সালে ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী আবারো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তার মৃত্যুতে বিএনপি সরকার আমলে উপ-নির্বাচনে তার বড় ছেলে নূর-ই-আলম চৌধুরী মাত্র ২৫ বছর বয়সে দেশের সর্বকনিষ্ট সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দলীয় নেতা কর্মী ও এলাকার মানুষের সাথে রয়েছে তার নিবিড় যোগাযোগ। যার প্রভাব দেখা যায় প্রতিটি নির্বাচনী ফলাফলেই। এরফলে পদ্মা আড়িয়াল খা নদসহ অসংখ্য নদ নদী খাল বিল সমৃদ্ধ শিবচর উপজেলা আজ দেশ সেরাদের কাতারে। ষষ্ঠবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। প্রথম থেকেই তরুন বয়সী এই নেতা এলাকার উন্নয়নে বিশেষ মনোযোগী হন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অন্যতম আস্থাভাজন নূর-ই-আলম চৌধুরী অভিজ্ঞতার তিন দশকে জয় করেছেন উন্নতির পথে সকল বাধা। তার উনয়নমূলক চেতনা ও সুদঢ় বিশ্বাস তাকে আজ দিয়েছে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ এর মর্যাদা। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে বাংলার সূর্য সন্তানদের স্মরণ রাখার জন্য শিবচরের বিভিন্ন স্থানে নির্মাণ করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কার্য। শিবচরকে সাজানা হয়েছে লাল সবুজের আদলে।
দেশরত্ন শেখ হাসিনা, যার সাহসী উদ্যোগে আজ পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন প্রায় শেষ হয়েছে। এরও অন্যতম সুবিধা পাবে শিবচর। শিবচর যেন আজ নূর-ই-আলম চৌধুরীর স্বপ্নের মতো দৃশ্যমান। তার উদ্যোগে শেখ ফজিলাতুন্নেসা পাইলট বালিকা বিদ্যালয়কে করা হেয়েছে সরকারিকরণ। অনার্স কোর্স চালুসহ ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী কলেজে মাস্টার্স কোর্স চালু হয়েছে। আইটি শিক্ষায় দক্ষ জনগাষ্ঠী গড়ে তোলার জন্য শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনে শেখ হাসিনা আইসিটি ইনস্টিটিউট শিবচরে অস্থায়ীভাবে চালু করা হয়েছে। এছাড়াও শেখ হাসিনা আইসিটি এন্ড হাইটেক পার্ক নির্মাণ করা হচ্ছে। আগামী প্রজন্মের সু-স্বাস্থ্য নিশ্চিতকরণ এবং দেশ সেবায় আগামী প্রজন্মকে সাবলীল রাখতে তারা যেন নবজাতক অবস্থায়ই ঝরে না পড়ে সেজন্য উপজেলা হাসপাতালকে ১০০ শয্যায় উন্নীত করনের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়াও ২০ শয্যাবিশিষ্ট চৌধুরী ফাতেমা বেগম মা ও শিশু কল্যাণ কেদ্র, এফডব্লিউসি সহ আরা দুটি মা ও শিশু কল্যাণ কেদ্র, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা নার্সিং ইনিষ্টিটিউট ও ট্রেনিং সেন্টার, শেখ হাসিনা আইএইচটি এবং ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী ট্রমা হাসপাতাল নির্মাণ হচ্ছে।
শিবচর উপজেলা ও পৌরসভার অবকাঠামা উন্নয়নের জন্য ব্যাপক কাজ হাতে নেয়া হয়েছে। শেখ হাসিনা সড়ক, শেখ হাসিনা সেতু, শেখ জামাল সেতু, শেখ কামাল সেতু, জয়বাংলা সেতু, দত্তপাড়া আড়িয়াল খাঁ নদীতে নূর-ই-আলম চৌধুরী সেতু ও স্বাধীন বাংলা সেতু, শেখ হাসিনা তাঁত পল্লী নির্মাণ হচ্ছে। এছাড়াও শেখ রাসেল শিশু পার্ক নির্মাণ করা হচ্ছে। নির্মিত হয়েছে মহান মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কর্য ও শহীদ মিনার, মুক্তিযোদ্ধা ভবন, ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী পৌর সুপার মার্কেটসহ বিভিন্ন মার্কেট, পৌর বাসস্ট্যান্ডসহ নানান কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। খেলাধুলার মান উন্নয়নের জন্য শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম ও খাদ্য সংরক্ষণের জন্য খাদ্য গুদাম নির্মাণ করা হচ্ছে। সাংস্কৃতিক চর্চার জন্য শিল্পকলা একাডেমী ও মুক্তমঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে।
শিবচর কয়েক দশকে অভূতপূর্ব এই অর্জনর পরও লিটন চৌধুরী বলেন আমি স্বপ্ন দেখি শিবচর হবে বাংলাদেশের একমাত্র উপজলা যেখানে সারা দেশের সাথে শিবচরের সড়ক পথ, নদী পথ, রেলপথ ও আকাশ পথের সংযোগ হবে। শিবচর হবে বাংলাদেশের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যকর নগরী।
চিফ হুইপ নুর ই আলম চৌধুরী জাতীয় সংসদের সংসদ কমিটির সভাপতি এবং বাংলাদেশ পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাবের সভাপতি। তিনি লুই আই কানের নকশা অনুসরণ করে সংসদ ভবন সংস্কারের মাধ্যমে সংসদ ভবনকে আরো আকর্ষণীয় করার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করেছেন। ইতিমধ্যে নকশা বহির্ভূত ভাবে নির্মিত সংসদ ভবনের ভেতরের কাঠের তৈরি বিভিন্ন কক্ষসরিয়ে ফেলা হয়েছে। নকশা বহির্ভুত ভাবে নির্মিত অধিকাংশ স্থাপনাই সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলে জানিয়েছে গণপূর্ত বিভাগ। কর্মকর্তারা জানান, এক্ষেত্রে চিফ হুইপের ভুমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য।
বিশ্ববিখ্যাত স্থপতি লুই আই কানের অনন্য নকশায় নির্মিত আধুনিক যুগের স্থাপত্য রীতির সর্বোৎকৃষ্ট নিদর্শন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ভবনের অসাধারণ স্থাপত্যের জন্য বাঙ্গালী জাতি গর্বিত। পিরামিডের সময় থেকে আধুনিক যুগ পর্যন্ত ব্যাপ্ত স্থাপত্যসমূহের যদি একটি বাছাই তালিকা করা হয় তবে তাঁর মাঝেও বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ভবন উপরের সারিতেই স্থান পাবে। কিন্তুু নির্মাণের পর থেকে দীর্ঘদিন বড় ধরনের কোন সংস্কার কাজ না হওয়ায় ধীরে ধীরে এর জৌলুস হারাতে বসেছিল। বিষয়টি অনুধাবন করতে পেরে বর্তমান সরকার ‘জাতীয় সংসদের পূর্ত কাজ, বৈদ্যুতিক ও যান্ত্রিক সিস্টেমের উন্নয়ন প্রকল্প’ নামে একটি আমব্রেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন করায় সংসদ ভবন এখন আরো বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। সংসদ ভবনের নতুন প্রাণসঞ্চারের পাশাপাশি এর পারিপার্শ্বিক উন্নয়নও সকলকে মুগ্ধ করেছে। অন্যদিকে লুই কানের নকশা অমান্য করে বিভিন্ন সময় সংসদের ভেতরে ও বাইরে স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছিল। বিশেষ করে সংসদের ভবনের ভেতরে আলো-বাতাস ঢোকার পথ বন্ধ করে তৈরি করা হয়েছিল কক্ষ। সংসদ সচিব, বিভিন্ন সংসদীয় কমিটির সভাপতিদের একান্ত সচিবসহ কর্মকর্তাদের এসব কক্ষ তৈরি হয়েছিল, যা মূল নকশায় ছিল না। সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তারা জানান, নকশা বহির্ভুত কাঠের তৈরি এসব কক্ষ সরিয়ে ফেলা হয়েছে। চিফ হুইপ নুর ই আলম চৌধুরীর দিক নির্দেশনায় সংসদ ভবনের ভেতরে ও বাইরে নকশা অনুযায়ী সংস্কার কাজ করা হয়েছে। এলডি-৩ ‘পার্লামেন্ট মেম্বার্স ক্লাব’, এলডি-২ ‘কমিউনিটি সেন্টার’ এবং এলডি-১ মেডিকেল সেন্টার ও সংসদ টিভির স্টুডিও হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ‘পার্লামেন্ট মেম্বার্স ক্লাব’, এলডি- ‘কমিউনিটি সেন্টার’ এবং মেডিকেল সেন্টার ও সংসদ টিভির স্টুডিওতে জাতীয় সংসদের স্পিকার, মন্ত্রী, সংসদ সদস্যসহ ভিআইপিগণ কর্মসুচিতে অংশ গ্রহণ করেন। ৩৪ বছর আগে নির্মিত এলডি হল গুলো বিভিন্ন সময়ে ছোটখাট মেরামত হলেও বড় ধরনের সংস্কার হয়নি। একারনে পার্লামেন্ট মেম্বার্স ক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটি হলগুলো আধুনিকায়ণের ওপর গুরুত্বারোপ করায় তা বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
এছাড়া সংসদ ভবনের উত্তর প্লাজায় যে ৫২ হাজার স্কয়ার ফিট জায়গা রয়েছে সেখানে ৩৬ হাজার স্কয়ার ফিট জায়গায় অফিস কক্ষ নির্মাণ করা হচ্ছে। এসংক্রান্ত বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ভবনের উত্তর প্লাজাকে অফিসে রুপান্তর প্রকল্পটি ইতিমধ্যে অনুমোদন হয়েছে। সংসদ কমিশনের ৩১তম সভায় চিফ হুইপ উত্তর প্লাজায় প্রয়োজনীয় রেনভেশনের মাধ্যমে কর্পোরেট অফিসের আদলে সংসদ সচিবালয়ের অফিস স্পেস করার প্রস্তাব করলে প্রধানমন্ত্রী ও কমিশনের অন্য সদস্যরা একমত পোষন করেন।
গণপূর্ত অধিপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, ১৯৮৪ সালে নর্থ প্লাজা নির্মিত হওয়ায় দীর্ঘদিন ব্যবহার জনিত কারনে রেড ব্রীকের স্থায়ীত্ব নষ্ট হয়ে গেছে ফলে বৃষ্টি হলেই ব্রীক সারফেস ও জয়েন্ট সমুহে শ্যাওলা ও ঘাসি জন্মায়। একারনে উত্তর ও দক্ষিণ প্লাজার উপরিতলে বিদ্যমান পুরাতন সিরামিক ব্রীক ও মার্বেল পাথর সম্পুর্ণরুপে অপসারণ করে কংক্রিট ছাদের উপরিভাগে পানি নিরোধী কটিং স্থাপন করে লুই আই কানের নক্সা অনুযায়ী বর্তমান সংসদ ভবনের স্থাপত্য শৈলী ও নান্দনিকতার সাথে সামঞ্জস্য রেখে একই রং এবং আকৃতির নতুন সিরামিক ব্রীক এবং মার্বেল পাথর যথাস্থানে প্রতিস্থাপন প্রয়োজন। এ প্রকল্পের অধিনে সংসদ সদস্য ভবনে কার পার্কিং শেড নির্মাণ করা হবে।
জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী জানান, স্থপতি লুই আই কানের মূল নকশার আলোকে পুরো জাতীয় সংসদ ভবনকে সাজানোর কাজ চলছে। মূল নকশার আলোকে সাজানোর পাশাপাশি সংসদ ভবনের পরিবেশ উন্নয়নে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। চিফ হুইপ বলেন, জাতীয় সংসদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাব। সম্প্রতি এই ক্লাবের পরিবেশকে মানসম্মত করতে আধুনিকায়ন করা হয়েছে। আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে বৈদ্যুতিক জেনারেটর স্থাপন, নিরাপত্তার স্বার্থে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং ব্যবস্থা উন্নতকরণ, পাবলিক এ্যাড্রেস কনফারেন্স সিস্টেম স্থাপন, জিমনেসিয়ামের আধুনিকায়ন এবং পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাবের ভেরিএ্যাবল রেফ্রিজারেটর ফ্লো (ভিআরএফ) এসি স্থাপন করা হয়েছে। আধুনিক লাইব্রেরি করা হয়েছে। যেখানে স্থাপিত হয়েছে বঙ্গবন্ধু কর্ণার। আধুনিক লাইব্রেরী করতে গিয়ে পুরো লাইব্রেরীকেই নতুন করে সাজাতে হয়েছে। আগের স্টিলের র্যাক অপসারণ করে সেখানে সেইনলেস স্টিল ও কাঠের ফ্রেমের সমন্বয়ে আধুনিক র্যাক করা হয়েছে। ফলে পুরো লাইব্রেরী হয়েছে অনেক দৃষ্টিনন্দন এবং সুশৃঙ্খল। আগে লাইব্রেরীর কর্মকর্তা-কর্মচারিদের আসন বিন্যাস ছিল বিচ্ছিন্ন ও বিক্ষিপ্ত। নতুন পরিকল্পনায় কর্মকর্তা-কর্মচারিদের আধুনিক আফিস সজ্জিতকরণসহ পুরো লাইব্রেরীর ডেকোরেশন ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। পড়ার রুমের চেয়ার-টেবিল ও সোফায় আনা হয়েছে নান্দনিকতার ছাপ।