নিজস্ব প্রতিবেদক:
এ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্না সরকার। খুলনার দাকোপ উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে নিজের পরিশ্রম আর মেধা খাটিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে জায়গা করে নেওয়া এক সফল নারী নেতৃত্বের নাম। ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী এই নেত্রী বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের প্রথম বাঙালি খ্রিষ্টান নারী সংসদ সদস্য। ‘সংরক্ষিত আসনের নারী সংসদ সদস্যরা সংসদের অলঙ্কার’ এমন মন্তব্য যে সঠিক নয় তা তিনি প্রমান করে দিয়েছেন খুলনা-১ আসনের (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) এলাকায় উন্নয়ন ও সেবামুলক কর্মকান্ড পরিচালনার মাধ্যমে। করোনা মহামারির মধ্যে বিশেষ করে করোনার শুরুর দিকে মানুষ যখন ভয়ে ঘর থেকে বাইরে বের হতেন না তখন সংসদ সদস্য ঝর্না সরকার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এলাকার মানুষের কাছে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্রাণ সহায়তা পৌছে দিয়েছেন নিজ হাতে। সরকারি সহায়তার পাশাপাশি বিভিন্ন এনজিও এর মাধ্যমেও সহায়তা পৌছে দিয়েছেন গরীব অসহায় মানুষের কাছে। সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য হয়েও তিনি কাজ করে চলেছেন এলাকার নির্বাচিত জন প্রতিনিধিদের মতোই। তাইতো খুলনা-১ আসনের সাধারণ মানুষ তাকেই এলাকার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি মনে করেন। পার্লামেন্ট ভয়েস এর সঙ্গে আলাপকালে সংসদ সদস্য গ্লোরিয়া ঝর্না সরকার বলেন, দেশের মানুষের ভরসার জায়গা হচ্ছে জননেত্রী শেখ হাসিনা। আর নেত্রীর নির্দেশে তার কর্মি হয়েই তিনি মানুষের সেবা করছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যার চেয়েছেন বলেই তিনি প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে জাতীয় রাজনীতিতে জায়গা করে নিতে পেরেছেন। সংসদ সদস্য হয়ে মানুষের পাশে দাড়াতে পেরেছেন।
তিনি বলেন, গ্রামের মহিলাদের স্বাবলম্বি করা হয়েছে। নেত্রীর একজন কর্মি হিসেবে তার নির্দেশে কাজ করছি। এলাকায় দুটি ফেরী ও একটি এ্যাম্বুলেন্স এর ব্যবস্থা করেছি। লাউডুব থেকে পাওয়ার হাউজ পর্যন্ত রুটে আগামী জানুয়ারীতে আরও একটি ফেরী চালু করা হবে। সুন্দরবনকে বিশ্বমানের পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য কাজ চলছে। কারন পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে সুন্দরবনকে সঠিক ভাবে ব্যবহার করতে পারলে সুন্দরবনের আয় দিয়েই দেশ চালানো সম্ভব।
এ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্না সরকারএকাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের টিকিটে খুলনা-১ আসন থেকে নির্বাচন করার জন্য মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন। তবে দলীয় মনোনয়ন পাননি। পরবর্তীতে সংরক্ষিত মহিলা আসনে মনোনয়ন পান। তবে খুলনা-১ আসনের মনোনয়ন না পেলেও এই এলাকার মানুষের পাশে রয়েছেন এবং সব সময় এলাকাবাসীর উন্নয়নে কাজ করে যাবেন বলে জানান তিনি।
সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করায় আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-১ আসন থেকে নির্বাচন করার কোন ইচ্ছা রয়েছে কিনা জানতে চাইলে এ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্না সরকার বলেন, ইচ্ছাতো রয়েছে। এলাকার সাধারণ মানুষ এবং দলীয় নেতা কর্মিরাও চায় সরাসরি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করি। তবে সব কিছু নির্ভর করছে জননেত্রী শেখ হাসিনার ওপর। তিনি যদি আগামী সংসদ নির্বাচনে খুলনা-১ আসনের জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেন তাহলে এলাকাবাসীর উন্নয়নে আরও বেশি কাজ করার সুযোগ পাব। তাই নেত্রী যে নির্দেশনা দেবেন তা মেনে নিয়েই সামনের দিকে এগিয়ে যাব।
ঝর্ণা সরকার ১৯৭৯ সালে দাকোপের লাউডোব গ্রামের বাসিন্দা সুশান্ত সরকার ওরফে শানু শিকারী ও সুপ্রিয়া রেনু শিকারীর খ্রিস্টান পরিবারে জম্মগ্রহণ করেন। স্কুল জীবন থেকেই তিনি রাজনীতিতে নাম লেখান।১৯৯৫ সালে সেন্ট পলস উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন তিনি। মাধ্যমিক শিক্ষা জীবনে মা-বাবার সঙ্গে একটি হত্যা মামলায় ষড়যন্ত্রমুলক আসামি হয়ে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছিলেন, সেই থেকে তার স্বপ্ন ছিল আইনজ্ঞ হওয়ার।১৯৯৬ সালে যশোরের সরকারি মহিলা কলেজ ছাত্রলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদিকার দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৭ সালে যশোরে এইচএসসি পাস করেন। ২০০০ সালে তেজগাঁও সরকারি কলেজ থেকে ডিগ্রি পাস করেন। এরপর ২০০৩ সালে আইন বিভাগে উত্তীর্ণ হন।পড়ালেখার পাশাপাশি রাজনীতি করতেন।
কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হন গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার। রাজনীতি ছাড়াও তিনি বাংলাদেশ মহিলা ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ খ্রিস্টান যুব উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির মহিলা বিষয়ক সহ-সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।
করোনা পরিস্থিতিতে কর্মহীন অসহায় মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া খাদ্য সহায়তার প্যাকেট নিয়ে নিম্নবিত্ত মানুষের ঘরে ঘরে পৌছে দেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার। নিজের সাধ্য অনুযায়ী সহায়তা দিচ্ছেন এখনো। ত্রাণ বিতরণ ছাড়াও করোনা বিষয়ে সতর্কতামূলক কার্যক্রমও চালিয়েছেন তিনি। এলাকাবাসীরা জানান, প্রত্যন্ত এলাকায় ভ্যানে চড়ে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে এমপি নিজ হাতে গরীব অসহায় মানুষের মাঝে প্রধানমন্ত্রী পাঠানো উপহার সামগ্রী বিতরণ করেছেন। সরকারী সহায়তার পাশাপাশি একাধিক বিদেশী সংস্থার সহযোগিতায় এলাকায় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন। ঝর্ণা সরকার বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে লালন করে জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে কাজ করছি।
নিজের পারিবারিক ঐতিয্যের কথা তুলে ধরে গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার বলেন তার পূর্ব পুরুষেরা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করায় স্কুল জীবন থেকেই তিনি রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। তার দাদি মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় দাকোপ উপজেলার লাউডোব ও বানিশান্তা ইউনিয়নে নিজস্ব ক্যাম্পে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ প্রদান করতেন। আর তিনি ফাদার মারিনো রিগনের মুখে তার দাদির যুদ্ধকালিন ইতিহাস শুনে আরো বেশি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন।
২০০৪ সালে আওয়ামী আইনজীবি পরিষদের সদস্য অ্যাড. শাহানাজ পারভীনের সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে যোগদান করলে গ্রেনেড হামলায় গুরুত্বর আহত হন। এতে তার কান ও গলার সমস্যার পাশাপাশি বোমায় তার পায়ের ক্ষত চিহ্ন আজও বহন করছেন তিনি। সেখান থেকে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে জীবনযাপন করতে থাকেন এবং আওয়ামী লীগের সাথে সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত হন।বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এবং বেসরকারি সদস্যদের বিল ও সিদ্ধান্ত প্রস্তাব সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার ইতোমধ্যে এলাকায় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধম্যে দুঃস্থদের জন্য ঘর নির্মাণ, বস্ত্র বিতরণ, এলাকার রাস্তঘাটসহ বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছেন।
তার স্বামীর নাম মিন্টু মোহন্ত। গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বানিয়াচর গ্রামে তার শ্বশুর বাড়ি। গোপালগঞ্জের পুত্রবধু গ্লোরিয়া ঝর্না সরকার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ও নর্দান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলএম ডিগ্রি অর্জন করার পর ঢাকা জজকোর্টে আইনজীবী হিসেবে সুনাম অর্জন করেছেন।
তিনি বাংলাদেশ বার কাউন্সিল, ঢাকা বার এসোসিয়েশন ও ঢাকা ট্যাক্স বার এসোসিয়েশনের সদস্য এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সদস্য, আইন বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য, বাংলাদেশ কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি সদস্য। সামাজিক কর্মকান্ডেও তিনি অবদান রেখেছেন। তিনি জীবন সহায়ক জনকল্যান সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি, বানিয়াচর ক্যাথলিক মিশন, ঢাকা শাখার সাধারন সম্পাদক, দি ঢাকা খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিঃ এর আইন উপদেষ্টা, বাংলাদেশ খ্রীষ্টান ল’ইয়ার্স এসোসিয়েশনের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক, ঢাকা খ্রীষ্টান বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ ও বর্ণালী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নের আইন উপদেষ্টা, সাপ্তাহিক প্রতিবেশীর আইন উপদেষ্টা, বাংলাদেশ খ্রীষ্টান মহিলা কল্যাণ সমবায় ও ঋণদান সমিতি লিঃ এর সাধারন সম্পাদক, লাউডোব কৃষি ও সমবায় সমিতি লিঃ, দাকোপ এর প্রতিষ্ঠাতা এবং ঢাকা ওয়াই ডব্লিউ সি এ এর আজীবন সদস্য।
গ্লোরিয়া ঝর্না সরকার বলেন, ‘আমি গণআন্দোলনে এবং সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে রাজপথের সক্রিয় কর্মী ছিলাম এবং বর্তমানেও সক্রিয় আছি।হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি “বঙ্গবন্ধুর” আদর্শকে বিশ্বাস করি, জাতির জনকের অসম্প্রদায়িক চেতনাকে লালন করি। গণতন্ত্রের মানসকন্যা বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রীর উন্নয়নের, গনতন্ত্রের রাজনীতিকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করি এবং তারঁ স্বপ্ন বাস্তবায়নে সার্বক্ষণিক সর্বাত্মক চেষ্টা করি।’
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এবং সকল মুক্তিযোদ্ধার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সংসদ সদস্য গ্লোরিয়া ঝর্না সরকার বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বাঙ্গালীর অবিসংবাদিত নেতা। বঙ্গবন্ধু শুধু বাঙালির নেতা ছিলেন না, তিনি বিশ্বের সকল নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষেরও নেতা ছিলেন। তিনি শোষণমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় কাজ শুরু করেছিলেন। সেই কাজ এগিয়ে নিচ্ছেন তার যোগ্য উত্তরসুরি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। আর সেই কাজে জননেত্রীর একজন কর্মি হিসেবে তিনি মানুষের কল্যাণে কাজ করছেন। বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশের স্বাধীনতা। এ মহান নেতার জন্ম না হলে বাঙালি আজো পশ্চিমাদের গোলাম হয়ে থাকতে হতো। তিনিই জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন।
বঙ্গবন্ধু জাতিকে শুধু স্বাধীনতা উপহার দিয়ে ক্ষ্যান্ত থাকেননি, এ মহান রাষ্ট্রনায়ক যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশকে ধাপে ধাপে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ দেশে উন্নীত করা কাজ শুরু করেছিলেন। দেশকে এগিয়ে নিয়েও যাচ্ছিলেন। কিন্তু ঘাতকরা তাহতে দেয়নি। তবে বঙ্গবন্ধু বাঙালির হৃদয়ে চিরদিন বেঁচে থাকবেন। তাঁর আদর্শের ভিত্তিতে দেশ পরিচালিত হচ্ছে। দেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত হতে চলেছে। বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে স্বাধীনতার আগে কিংবা মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠি হত্যা করতে পারেনি, বাংলাদেশের কিছু কুলাঙ্গার মীরজাফর এ মহান নেতাকে সপরিবারে হত্যা করেছে। তাঁকে হত্যা করে স্বাধীনতার আদর্শকে এবং দেশের উন্নয়নকে পেছনের দিকে নিয়ে যায়। আজ জাতির পিতার যোগ্য উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে দেশ আজ আবার মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের ধারায় ফিরে এসেছে। খুনিদের বিচার ও রায় কার্যকর হয়েছে। এমনকি একাত্তরের মানবতা বিরোধী অপরাধীদের বিচার হয়েছে। এখনও চলছে।তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা নিষ্ঠার সাথে দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। দেশকে বিশ্বে মর্যাদার আসনে আসীন করেছেন। তাঁর যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন শুধু মধ্যম আয়ের দেশ নয়, উন্নয়নশীল দেশের পরিণত হয়েছে। পাকিস্তানসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশ আজ অনেক উন্নয়ন সূচকে এগিয়ে রয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের এ অর্জন আজ স্বীকৃতিও পেয়েছে।