সৈয়দা রোকসানা পারভীন:
গাজীপুরের টঙ্গীতে সাবেক সংসদ সদস্য শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ১৮তম শাহদাত বার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার বিকেলে টঙ্গী সরকারি কলেজ মাঠে এক স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগ।
মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি মশিউর রহমান সরকার বাবুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ মোস্তাক আহমেদ কাজলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয়, বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্রাচার্য।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি শামসুর নাহার ভুঁইয়া,গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ, গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি এড. আজমত উল্লাহ খান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতাউল্লা মন্ডল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতি,টঙ্গী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. রফিকুল ইসলাম,মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী ইলিয়াস আহমেদ, থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি ফজলুল হক, কলেজ শাখার ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী মঞ্জু প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার টঙ্গী আসন থেকে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে দু’বার সংসদ সদস্য, ১৯৯০ সালে গাজীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ১৯৮৩ ও ১৯৮৭ সালে দু-দফা পুবাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য। তিনি জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ – (বিলস)-এর চেয়ারম্যান। তিনি শিক্ষক সমিতিসহ বিভিন্ন সমাজসেবামূলক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন।
২০০৪ সালের ৭ মে গাজীপুর-২ আসনের আওয়ামী লীগের সাংসদ ও জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি পদে আসীন থাকাকালীন সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে নিহত হন আহসানউল্লাহ মাস্টার। এ ঘটনার পরদিন তার ভাই মতিউর রহমান টঙ্গী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় ২০০৪ সালের ১০ জুলাই পুলিশ অভিযোগপত্র দায়ের করে। ঢাকার একটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিল ২২ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও ছয় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। খালাস দেওয়া হয় দুই আসামিকে।