নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রায় একবছর পর সংসদে বক্তৃতা দিলেন বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ। বুধবার সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় তিনি অংশ নেন।
বিরোধী দলনেতার খোঁজখবর নিতে সংসদ নেতা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজেই চলে যান বিরোধী নেতারা আসনের সামনে। আর খোঁজ খবর নেন কথা বলেন। এটাকেই বলে প্রধানমন্ত্রীর সহমর্মিতা। এটাকেই বলে সংসদীয় গণতন্ত্রের সুন্দর নিদর্শন।
চিকিৎসা শেষে সাত মাস পর সোমবার থাইল্যান্ড থেকে দেশে ফেরেন রওশন। জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশনকে গত বছরের ৫ নভেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড নেওয়া হয়। ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলে।
এর আগে ফুসফুসের জটিলতায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) টানা ৮৪ দিন ছিলেন তিনি।
সংসদে বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে রওশন বলেন, ‘গত বছরের আগস্ট থেকে আমি অসুস্থ। সুস্থ হয়ে ফিরে এসেছি। আপনারা সবাই দোয়া করেছেন। মাননীয় স্পিকার আপনি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সার্বক্ষণিক আমার খোঁজ নিয়েছেন। সংসদে কথা হয়েছে।’
পদ্মা সেতুর বিরোধিতাকারীদের মুখে চুনকালি পড়েছে মন্তব্য বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে অনেক কথা হয়েছিল। এটি সত্যি সত্যি বাস্তবায়িত হয়েছে। এটা শুধু সেতু নয়, এটি সক্ষমতা ও আত্মমর্যাদার প্রতীক। এটি সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে প্রাণঢালা অভিন্দন জানাই। রওশন এরশাদ বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। এখন সবারই মুখে চুনকালি পড়েছে। সবার মুখ বন্ধ হয়েছে।
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের জন্য সরকার প্রধানকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, ‘পদ্মা সেতু শুধু একটি অবকাঠামো নয়। এ সেতু আমাদের আত্মমর্যাদার প্রতীক। এটা নিয়ে অনেক সমালোচনা ছিল। স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়েছে। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানাই।’ বন্যা সমস্যার স্থায়ী সমাধানে দীর্ঘমেয়াদী পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান রওশন।
আগামী ৪ জুলাই স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তার আবার ব্যাংকক যাওয়ার কথা রয়েছে।