গণপূর্তের মেট্রোপলিটন জোনের অতি: প্রধান প্রকৌশলী কে?

নিজস্ব প্রতিবেদক:
গনপূর্ত অধিদপ্তরের ঢাকা মেট্রোপলিটন জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার বসু আগামী ২৮ জুলাই এলপিআর এ যাবেন। অথচ এলপিআরএ যাওয়ার ২৩ দিন আগে গত ৫ জুলাই অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. নাছিম খানকে (সংস্থাপন ও সমন্বয়) ঢাকা মেট্রোপলিটন জোনে বদলী করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, বর্তমান অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এলপিআর এ যাওয়ার ৮ দিন আগেই মো. নাছিম খানকে মেট্রোপলিটন জোনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে অধিদপ্তরের ওয়েব সাইটে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

অধিদপ্তরের ওয়েকসাইটে প্রবেশ করলে দেখা যায় মেট্রোপলিটন জোনের দায়িত্বে মো: নাছিম খান। সেখানে বর্তমান অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী প্রদীব বসুর পরিবর্তে নাছিম খানের ছবি দেওয়া হয়েছে। কর্মকর্তাদের যে তালিকা সেখানেও প্রদীব বসুর নামের পাশে কর্মস্থলের জায়গা ফাকা রাখা হয়েছে। অন্যদিকে নাছিম খানের কর্মস্থল ঢাকা মেট্রোপলিটন জোন দেখানো হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (সংস্থাপন ও সমন্বয়) মো. নাছিম খান বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতারের ঘনিষ্ট হওয়ায় মেট্রোজোনের পদ শূন্য হওয়ার অনেক আগেই নাছিম খানকে ঐ পদে বদলীর প্রস্তাব মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়। গণপূর্তের বদলী বানিজ্যের সঙ্গে জড়িত এক নির্বাহী প্রকৌশলী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তিনি ঐ পদে বদলী হয়েছেন। আর এই বদলীর খরচ তোলার জন্য অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (সংস্থাপন ও সমন্বয়) মো. নাছিম খান তিন জন নির্বাহী প্রকৌশলী এবং একজন উপ-সহকারি প্রকৌশলীকে বদলীর ব্যবস্থা করিয়ে দেন প্রধান প্রকৌশলীর মাধ্যমে। এর মধ্যে একজন উপ-সহকারি প্রকৌশলীর পদোন্নতির প্রস্তাব মন্ত্রনালয়ে পাঠানোর পর পদোন্নতি হওয়ার আগেই তার কর্মস্থলে অন্য একজন কর্মকর্তাকে বদলী করা হয়েছে।

অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. নাছিম খান এ বিষয়ে এ প্রতিবেদককে বলেন, বদলীর ক্ষেত্রে কোন আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ সঠিক নয়। পদ শূন্য হওয়ার আগে বদলীর রেওয়াজ রয়েছে। তিনি বলেন, নতুন কর্মস্থলে ৩১ জুলাই যোগদান করবো। তবে ওয়েবসাইটে ভুলে হয়তো মেট্রোপলিটন জোনে তার নাম দেখানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *