ভাগ্য বিধাতা সহায় তোমার হে বঙ্গ কন্যা

সমাপ্তি মুখার্জী:
দিনটি ছিল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শুক্রবার, বাঙ্গালীর তথা গোটা জাতির জীবনের চিরদিনের গভীর শোক,দুঃখ, কষ্টের, বেদনার এবং মর্মাহত একটি দিন।যেটা গোটা জাতির কাছে কালো মর্মান্তিক একটি দিন হিসেবে পরিচিত যে দিনটিতে  আমরা জাতীয় শোক দিবস  পালন করি।আমার কাছে তথা গোটা বাঙ্গালী জাতির কাছেই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পরে প্রতিটি দিনই শোক দিবস যেটা আমরা আজও বুকে ধারণ করে বেঁচে আছি।প্রতি নিয়ত আমাদের বুকের বা হৃদয়ের মধ্যে রক্তক্ষরণ হয়।ভয়াল সেই ১৫ আগস্ট জাতির পিতা ও তার পরিবার এবং তার ঘনিষ্ঠ জন সহ মোট ২৬ জন নিহত হন বঙ্গবন্ধুর বিশস্ত বেঈমান জিয়ার নির্দেশে ঘাতক মুস্তাক- ডালিম বাহিনীর হাতে। ভাগ্য বিধাতা সহায় থাকতে এবং উপরওয়ালার অশেষ রহমতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোটো বোন শেখ রেহেনা দেশের বাহিরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান। শেখ হাসিনা কে মারার জন্য তারা যথেষ্ট বার চেষ্টা করেছেন বা এখনও করে যাচ্ছেন কিন্তু ব্যর্থ হয়েছেন আল্লাহর দোয়ায় সে এখনো বেঁচে আছেন এবং প্রায় ১৭ কোটি মানুষের দোয়া আর ভালোবাসায় শেখ হাসিনা বেঁচে থাকবেন দেশকে আরো উন্নতির দিকে নিয়ে যাবেন।করোনা মহামারী কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধ গোটা বিশ্বেই প্রভাব পরেছে।কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের জনগণের কথা ভেবে অনেক গুলো পদক্ষেপ নিয়েছেন যাহাতে দেশের মানুষের মুখে হাসি মলিন না হয়ে যায়।তবে দেশকে প্রতিনিধিত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী যতোটাই এগিয়ে নিতে চাচ্ছে একদল কুচক্রী মহল তাদের রাজনৈতিক ফয়দা লুটবার জন্য তাদের চোখে দেশের কোনো উন্নয়নই চোখে পরে না। যেমন শেখ হাসিনা কে মারার জন্য চেষ্টা তো কম করেনি কখনোই সফল হয়নি আর হতে পারবেও না।তাতে কি বেঈমানের বংশ তো লজ্জা নেই তাই তো অহেতুক চেষ্টা করে এবং এখনও করে যাচ্ছে।

যারা এমন ভাবছেন যে এবারে শেখ হাসিনা কে শেষ করতে পারলেই সফল হবেন তাদের উদ্দেশ্য করে বলছি এমন চিন্তা ভুলেও করবেন না দেশের মানুষ দেশের জনগণ আপনাদের পাশে বা সাথে নেই সেটা হয়তো বুঝতে আপনাদের বাকি নেই। জনগণ একবার আপনাদের উপর ক্ষুব্ধ হলে পাকিস্তানেও আপনাদের জায়গা হবে না মাথায় রাখবেন।আপনাদের বোঝা উচিৎ আল্লাহর ইচ্ছে ছাড়া কিছুই সম্ভব নয়। আমরা আল্লাহকে বিশ্বাস করি।আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই করেন,আল্লাহর হুকুম বিনা যেমন একটা গাছের পাতাও নড়ে না তেমন আল্লাহর দোয়া ছাড়া  বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা কে বার বার ষড়যন্ত্র করে মেরে ফেলার চেষ্টা করার পরেও সফলতা সাথে টানা তিন মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন না।এতেই আপনাদের বোঝা উচিৎ আল্লাহর কতোটা সহায় আল্লাহর কতোটা দোয়া আছে শেখ হাসিনার সঙ্গে। আপনাদের বোঝা উচিৎ ভাগ্য বিধাতা সহায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। আমাদের ছোটো থেকে শুরু করে বৃদ্ধ বয়স পর্যন্ত সকলের দিকে যার খেয়াল সে আর কেউ নয় আমাদের মাননীয়  প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী জনগণের নেত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা। শিশুদের জন্য নয় শুধু সকল ছাত্র ছাত্রীদের জন্য বিনামূল্যে লেখা পড়ার সুযোগ করে দিয়েছেন,ছেলে মেয়ে উভয়ের জন্যই উপবৃত্তি চালু করেছেন, বৃদ্ধদের জন্য বয়স্ক ভাতা,বিধবাদের জন্য বিধবা ভাতা,গর্ভবতীদের জন্য মাতৃত্বকালীন ভাতা,ভূমিহীনদের জন্য ভূমি সহ ঘরের ব্যবস্তা করেছেন,ইতিমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন কেউ ভূমি হীন থাকবে না,৫০ লক্ষ পরিবারকে রেশনের আওতায় এনেছেন আগামীতে আরো পরিবার রেশনের আওতাভুক্ত হবে ইত্যাদি ইত্যাদি ভাতার সুযোগ করে দিয়েছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী।মোট কথা আমাদের মৌলিক চাহিদা অন্য, বস্র,বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা সকল কিছুই আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পূরণ করেন।যেটা বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকতে করে গিয়েছিলেন জনগণের জন্য।

বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত স্বপ্ন পূরণ এবং বঙ্গবন্ধুর সোনার  বাংলা গড়তে দিন রাত নিরলস প্রচেষ্টা করে চলেছেন তারই কন্যা শেখ হাসিনা। জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের সর্বত্র কমিউনিটিক ক্লিনিক গুলো বিনামূল্যে সুন্দর এবং সততার সহিত সফলতার সাথে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে। এমন কি দেশের প্রতিটি গ্রামের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে পড়েছে চিকিৎসা সেবা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের শুধু মৌলিক চাহিদা নয় সকল চাহিদা পূরণ করবেন কিন্তু দুঃখ জনক ভাবে স্বপ্ন পূরণের আগেই বিশ্বাস ঘাতক জিয়ার নির্দেশে স্ব পরিবারে মৃত্যু বরন করেন জাতির পিতা কিন্তু আল্লাহর অশেষ কৃপায় বেঁচে থাকেন তারই সুযোগ্য দুই কন্যা তার পিতা বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত স্বপ্ন পূরণের জন্য।আল্লাহ শুধু আমাদের রক্ষা কর্তা নয় গোটা  পৃথিবীর রক্ষা কর্তা। আমার মতে  রাষ্ট্রের রক্ষা কর্তা কে আল্লাহর আশির্বাদ মনে করতেই পারি,, আমাদের দেশের সেই আল্লাহর আশির্বাদ আমাদের প্রধানমন্ত্রীর দেশনেত্রী জনগণের নেত্রী শেখ হাসিনা। দেশের জনগণের কথা যিনি ঘুমিয়ে ঘুমিয়েও ভাবেন, দেশের উন্নয়ন করার চিন্তা যার সর্বক্ষণ, দেশের জন্য যে বার বার মৃত্যুর ফাঁদ থেকে বেঁচে ফিরেছেন সেটা শুধু দেশের জনগণের কল্যানের জন্য, বাংলার মানুষের ভালোবাসা, দোয়া আর ভাগ্য বিধাতা সহায় আছেন বলেই বেঁচে ফিরেছেন আমাদের মাঝে,,২০০৪ সালে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা তার প্রমাণ।আল্লাহর দোয়া ছাড়া একটি দেশের রক্ষা কর্তা বা প্রধানমন্ত্রী হওয়া সম্ভব নয়, আমার নিজস্ব বিশ্বাস বা আমার মনে হয় আল্লাহর পরে যদি কারো স্থান থাকে আমার কাছে সে হলো আমাদের প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী শেখ হাসিনার। গোটা পৃথিবীর সকল দায়িত্ব যিনি নিয়ে আছেন তিনিই আল্লাহ আর গোটা বাংলাদেশের সকল কর্তব্য কাঁধে করে নিয়ে আছো বলেই তুমি আমাদের কাছে আল্লাহর আশির্বাদ সরুপ। দেশের প্রতিটি মানুষকে সুখে শান্তিতে রেখেছো তুমি, প্রতিটি মানুষকে স্বাধীন ভাবে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখিয়েছো তুমি। দু মুঠো ভাত প্রতিটি মানুষ খেতে পারে শুধু তোমার কারণে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কখনো চায়নি বাংলার কোনো মানুষ না খেয়ে থাকুক বা থাকবে।আমরা মাছে ভাতে বাঙ্গালী তুমি আমাদের মনের আশা পূরণ করে পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছো।তাইতো গোটা বাঙ্গালীর কাছে তুমিই আল্লাহর পাঠানো আশির্বাদ। বাংলাদেশের সকল জনগণের প্রতিই আল্লাহর দোয়া আছে বলেই তুমি আমাদের বার বারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশনেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জাতির অমূল্য সম্পদ শেখ হাসিনা। মননীয় প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেত্রীত্রের জন্যই আজ বিশ্বে বাংলাদেশ এতোটা পরিচিত। বিভিন্ন দেশ এখন বাংলাদেশ কে শ্রদ্ধা এবং সন্মান করে।শেখ হাসিনার এই সাফল্য মন্ডিত নেত্রীত্রের জন্য বিশ্বের যেকোনো দেশে গেলেও আমাদের প্রধানমন্ত্রীর স্থান শীর্ষে থাকে।সকল দেশের রাষ্ট্র প্রধানরা তাকে সন্মান করে।বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র প্রধানেরা তাদের সমস্যা নিয়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে আলোচনা করে এবং সঠিক পরামর্শ জানতে চান।আমাদের প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী জনগণের নেত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা কাউকে বিমুখ করেন না।সবাইকে সঠিক পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করেন।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যেমন রেখে গেছেন তার সুযোগ্য কন্যা তেমনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও ভুল করেন নি,মা হিসেবে সে জাতির পিতার আদর্শ এবং তার নিজ আদর্শে এবং মানবিক ও সৃষ্টিশীল গুণাবলীতে গড়ে তুলেছেন তারই দুই সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়জেদ পুতুল কে। অনেকে হয়তো আমার এই লেখার সমালোচনা করবে তবে আমার হৃদয়ের গভীর থেকে মনে হয় আল্লাহর পরে ব্যক্তিগত ভাবে যদি করো স্থান থাকে সে হলো দেশের যিনি প্রধান আর সে হলো বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। গোটা দেশটাকে যিনি পরিচালনা করেন এবং দেশের জনগণকে ভালো রাখার জন্য যিনি প্রাণ বিসর্জন দিতে পারেন বা প্রাণ বিসর্জন দিয়ে হলেও ভালো রাখার চেষ্টা করেন তিনি হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা,বাংলা তথা গোটা জাতির কাছে আল্লাহর পাঠানো আশির্বাদ সরূপ। এমন কি বাংলাদেশ কে এবং দেশের জনগণকে রক্ষা করার জন্য আল্লাহর পাঠানো প্রতক্ষ দূত।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যা যা ভাবেন বা বলেন তা তিনি রাখেন।যেমন যে পদ্মা সেতু আমাদের কাছে শুধুই স্বপ্ন ছিল এখন তা বাস্তবে সত্য। পদ্মা সেতু উদ্ভোদনের মধ্যে দিয়ে তিনি শুধু বাংলাদেশ কে নয় পুরো বিশ্ব কে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। বিভিন্ন দেশ পদ্মা সেতুর জন্য প্রধানমন্ত্রী কে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন।

পদ্মা সেতু দেশের জন্য কতো বড়ো উপহার তা দক্ষিনবঙ্গের মানুষের কাছে জানতে চাইলে খুশিতে তাদের চোখে পানি চলে আসে কিভাবে বোঝাবে ভাষা হারিয়ে ফেলে।বলা যেতেই পারে উন্নয়নের রোল মডেল, পদ্মা সেতু তার চ্যালেঞ্জ।চ্যালেঞ্জ শতভাগ সাফল্য অর্জন করেছে। স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়েছে তাও আবার নিজেদের টাকায়। কোনো ষড়যন্ত্র প্রধানমন্ত্রীর মনোবল ভেঙ্গে দিতে পারেনি। পদ্মা সেতু দেশের জনগণের জন্য কতোটা দরকার এবং পদ্মা সেতু দেশের উন্নয়নের জন্য কতোটা সেটা ভেবে অনেকে পদ্মাসেতু নির্মাণ বাধা সৃষ্টি
করেছে কারন প্রধানমন্ত্রী পদ্মাসেতু নির্মাণ করলে দেশ অনেক অনেক উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাবে,,যে কারনে ষড়যন্ত্র  কম করেনি ষড়যন্ত্রকারীরা কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তাদের বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে নিজেদের টাকায় পদ্মাসেতু নির্মাণ করে সেতুর উপর দিয়ে পায়ে হেটে দেখিয়ে দিয়েছেন,,যদিও তাদের আমন্ত্রণ জানিয়ে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী লজ্জা না থাকলেও লোক দেখানো লজ্জাটুকু তাদের হয়তো ছিলো তাই যায় নি,,যারা ষড়যন্ত্র করেছিলেন তাদের কে বলছি আপনারাও পদ্মাসেতু ঘুরে আসুন আশা করি ভালো লাগবে।প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন ১০ টাকা কেজি দরে চালের ভাত খাওয়াবেন বাংলার জনগণকে।বাংলাদেশের মানুষ কি কখনও ভেবেছিলো ১০ টাকা কেজি দরে চাল কিনবে কোনদিন,,কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সত্যিই স্বপ্ন বাস্তব করেছে,১০ টাকা কেজিতে দেশের জনগণ এখন চাল কিনতে পারে বা কিনছে।আমার মনে হয় প্রধানমন্ত্রী যদি আরো দীর্ঘ  সময় পান তাহলে বছরের ৩৬৫ দিনই দেশের মানুষ ১০ টাকা কেজি দরে চাল কিনতে পারবে।প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন সুযোগ পেলে যুদ্ধ অপরাধী রাজাকারদের বিচার করবেন। প্রধানমন্ত্রী তার কথা রেখেছেন, যুদ্ধ অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসী তিনি দিয়েছেন। বাকি যে সকল রাজাকার আছে তাদের তালিকা তৈরি হয়েছে, ক্রমান্বয়ে তাদেরকে শাস্তির আওতায় এনেছেন এবং বাকিদের শাস্তির কাজ চলমান আছে।জাতির পিতার খুনীদের বিচার করবেন বলেছিলেন সেটাও বাস্তবায়ন করেছেন।দেশের বাহিরে যে সমস্ত খুনী আছে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আইনিভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে অবিরাম। বাংলাদেশ কে জঙ্গি মুক্ত সন্ত্রাস মুক্ত করবেন বলেছিলেন তাও করেছেন,,এখন মাঝে মধ্যে যেটুকু সন্ত্রাসের কথা শোনা যায় সেটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক কোন্দল,, প্রধানমন্ত্রীর সন্মানহানীর জন্য সাজানো বানোয়াট। প্রধানমন্ত্রী নারীর ক্ষমতায়নের কথা বলেছেন সেটাও বাস্তবায়ন করেছেন। দেশের প্রধানমন্ত্রী,স্পিকার,বিরোধী দলের নেত্রী থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্তরে একেবারে শীর্ষ স্থান থেকে নিন্ম স্থান পর্যন্ত সর্বত্র রয়েছে নারীদের পদচারণা। সর্বত্রই নারীদের ছোয়া,ক্ষমতায়নে নারীরা এগিয়েই আছে।এ রকম নারীদের দৃষ্টান্ত দিতে গেলে লেখা শেষ হবে না,,এমন কি পদ্মাসেতুর টোল প্লাজায় ১৬ জন নারী ১৬ জন পুরুষ দিন রাত সমান তালে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী জনগণকে যে সকল কথা দেয় বা দিয়েছেন তা সকল বাস্তবায়ন করেছেন আর করবেন।কথা দিয়েই কথা রাখা যায় না, মনে হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর মাথার উপর আল্লাহ এমন ভাবে হাত রেখেছে যে তিনি মুখ থেকে যে কথাই বলেন সবটাই আল্লাহ সঙ্গে সঙ্গে বাস্তবায়ন  করতে দোয়া করেন।আল্লাহ দোয়া না করলে এভাবে কথা রাখা সম্ভব নয়। আল্লাহর দোয়া সঙ্গে ছিলো বলেই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট দুই বোন দেশের বাহিরে ছিলো বলেই আমার মনে হয়।অনেক দুষ্কৃতীকারী চেষ্টা করেও কোটালিপাড়া মস্তোবড়ো বোমা রেখেও শেখ হাসিনার কোনো ক্ষতি করতে পারেনি কারন আল্লাহ তাকে রক্ষা করেছেন এবং করে যাচ্ছেন অবিরত। তাই যারা প্রধানমন্ত্রীর ক্ষতি করতে চায় তাদের সতর্ক থাকা উচিৎ,, আল্লাহ কে ভয় পেতে শিখুন,,প্রধানমন্ত্রীর ক্ষতি মানে গোটা জাতির ক্ষতি, যারা ক্ষতি করতে চাচ্ছেন তাদের বোঝা উচিৎ কম চেষ্টা তো করেন নি কই কখনোই কি সফল হতে পেরেছেন, পারেননি তো তাহলে এবার থেমে জান,বাংলার জনগণ একবার যদি আপনাদের পেছনে পরে তাহলে কিন্তু পালানোর পথ খুঁজে পাবেন না।আল্লাহর দোয়া আর বাংলার জনগণ যতদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আছে ততদিন আপনারা তার কোনো ক্ষতি করতে পারবেন না।

মনে রাখবেন এটা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নয় এটা ২০২২ সাল।প্রধানমন্ত্রীর উপর স্বয়ং  আল্লাহর দোয়া তথা বাঙ্গালী জাতি কিংবা বাংলাদেশের জন্য আল্লাহর দোয়া। আল্লাহ চাইলে সব করতে পারে তা আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কে দেখলেই বোঝা যায়। বাংলাদেশের জনগণের কথা চিন্তা করে তাদেরকে ভালো রাখার জন্য, বাংলাদেশ কে বিপদমুক্ত রাখার জন্য এতটাই ভাবেন যে ঠিক সময় মতো খেতে পারে কিনা তা নিয়ে আমার সন্দেহ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার কাছে আমার একান্ত অনুরোধ নিজের প্রতি একটু খেয়াল রাখুন কারন আপনি ভালো থাকলে বাংলাদেশ তথা পুরো জাতি ভালো থাকবে।আপনার জীবন আরো সাফল্য মণ্ডিত  হোক, আপনি সুষ্ট এবং সুন্দর ভাবে বাংলাদেশটাকে দীর্ঘ সময় ধরে নেত্রীত্ব দিয়ে  জাতির পিতার সকল স্বপ্ন বাস্তবায়ন করুন।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত স্বপ্ন পূরণের জন্যই ভাগ্য বিধাতা ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট সেই ভয়ংকর কালো রাতে আপনাকে আর আপনার বোনকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। এগিয়ে যাচ্ছে দেশ,এগিয়ে যাচ্ছেন আপনি। বড়ো বড়ো রাষ্ট্রের কাছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা  বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন রোল মডেল। ভাগ্য বিধাতা সহায় তোমার হে বঙ্গ কন্যা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

Print Friendly, PDF & Email