ডিএসসিসির কাউন্সিলর রুহুল ও তার দুই ছেলের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৫২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ রুহুল আমিন এবং তার দুই ছেলে মোঃ রবিন আমিন (৩০) ও মোঃ ওমর ফারুক (৩৫) এর বিরুদ্ধে কদমতলী থানার ১২৯ মাদ্রাসা রোড, মুরাদপুরের একটি নিরীহ পরিবারের সদস্যদের উপর নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন এবং পরবর্তীতে প্রেস ক্লাবের সামনে এলাকাবাসী সমাবেশ করে ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও তার দুই ছেলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছে।

সকালে প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে মাদ্রাসা রোডের মোঃ সুমনের স্ত্রী হাসিনা বেগম লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করেন ৯ নভেম্বর তার ননদের ছেলে আকাশ তাহার নেট লাইনের কাজ করার সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৫২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ রুহুল আমিনের দুই ছেলে মোঃ রবিন আমিন ও মোঃ ওমর ফারুক তার কাজে বাঁধা প্রদান করে। তাহাদের কাজে বাঁধার কারণ জানতে চাইলে আসামীরা তার ননদের ছেলে আকাশ ও তার সঙ্গে থাকা কর্মচারিদেরও এলোপাথারি মারধর করে। এর মধ্যে মারাত্মক ভাবে জখম হয়েছে ৩জন এবং ৪ জন গুরুত্বর আহত হয়েছে। তাদের ডাক চিৎকারে আকাশের বোন স্মৃতি এগিয়ে আসলে মোঃ রবিন আমিন ও মোঃ ওমর ফারুক স্মৃতিকেও এলোপাতারি মারধার করিয়া শরীরে বিভিন্ন স্থানে জখম করে এবং টানা হেঁচড়া করিয়া শরীরের স্পর্শ কাতর স্থানে হাত দিয়ে শ্লীতাহানি করে।

এসময় মোঃ রবিন আমিন তার জেঠাস (বৌয়ের বড় বোন) রুমকিকে দিয়ে আগে থেকেই পরিকল্পনা করে উপরোক্ত ঘটনা নিয়ে তাকেসহ মামলার স্বাক্ষীদের নিয়ে অত্র এলাকার কাউন্সিলর ৩নং আসামীর অফিসে আপোষের জন্য ডাকে। তাহার ডাকে তিনিসহ মামলার ভিকটিম ১নং রানা, ২নং লাখী, ৩নং স্মৃতি সহ তাহাদের শুভাকাঙ্খীগণ গত ০৯ নভেম্বর দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টায় ৩নং আসামী ৫২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ রুহুল আমিনের অফিসে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কথা বলার এক পর্যায়ে উক্ত আসামীগণ উত্তেজিত হয়ে রবিন আমিননের হাতে থাকা বটি দিয়া আমার মাথার বাম ও ডান পাশে সজোরে আঘাত করিলে আমার মাথার দুপাশে মারাত্মক রক্তাক্ত ও জখম হয় এবং কাউন্সিলরের হাতে থাকা শাবল দিয়ে আমার ডান হাতের পাজরের উপরে ও শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাত করিয়া মারাত্মক জখম করে। (উল্লেখ্য, উক্ত বটি ও শাবল ১নং আসামীর বৌ ঐশী তাদের কার্নিসের উপর থেকে নামিয়ে দেয়)।

উক্ত বিষয়টি নিয়ে কদমতলী থানায় মামলা করতে গেলে কদমতলী থানা উক্ত মামলাটি গ্রহণ না করার কারণে পরবর্তীতে গত ১৪ নভেম্বর কোর্টে কাউন্সিলর ও তার দুই ছেলেসহ অজ্ঞাত নামা আরো ১০ /১২ জনকে আসামী করে একটি মামলা রুজু করা হয়। মামলা রুজু করার কথা শুনে আসামীদ্বয় আমাকে ও আমার পরিবারের উপর অনবরত নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে এবং প্রাণে মেরে ফেলা হুমকি প্রদান করছে। এমতাবস্থায় আমরা পুলিশী কোন সহযোগিতা পাচ্ছি না। আসামীদ্বয় এলাকা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমার ও আমার পরিবারের নিরাপত্তা প্রদান সহ তদন্ত সাপেক্ষে আসামীদে বিরুদ্ধে জরুরী ভিত্তিতে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *