নিজস্ব প্রতিবেদক:
রমনা পার্কের সৌন্দর্য বৃদ্ধি, ঐতিহ্য সুরক্ষা ও জীব-বৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য শুধুমাত্র পহেলা বৈশাখে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান ছাড়া রমনা পার্কের ভেতরে অন্য যে কোন সময়ে অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ থাকলেও এটা মানা হচ্ছে না। শুক্রবার সকালে আলফা ইয়োগা নামে একটি সংগঠনের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে রমনা পার্কের ভেতরে মাইক বাজিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পার্কের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্য ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের কর্মচারিরা অনুষ্ঠান বন্ধ করতে বললে আয়োজকরা নিরাপত্তা কর্মিদের ওপর চড়াও হয়। এ নিয়ে দু পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকটি ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনাও ঘটে।
গণপূর্ত অধিদপ্তরের কর্মচারিরা জানান, খুব ভোরেই আলফা ইয়োগার অনুষ্ঠানের জন্য মাইক ও সাউন্ডবক্স পার্কের ভেতর নিয়ে আসা হয়। সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে উচ্চ শব্দে মাইক বাজিয়ে বক্তারা বক্তৃতা শুরু করেন। এসময় আনসার সদস্য ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারিরা পার্কের ভেতর অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ করে মন্ত্রনালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনের বিষয়টি জানিয়ে অনুষ্ঠান বন্ধ করার অনুরোধ জানালে আয়োজকরা তাদের ওপর ক্ষিপ্ত হন। এবিষয়ে আয়োজকরা জানান, অনুষ্ঠানে তাদের আমন্ত্রিত অতিথিরা এসেছেন। এভাবে হঠাৎ করে অনুষ্ঠানের মাঝপথে বন্ধ করতে বলা হয়েছে যা অযৌক্তিক। তারা বলেন, সকালে যখন মাইক ও সাউন্ড বক্স পার্কে প্রবেশ করেছে তখন কেন বাধা দেওয়া হল না।
এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা গণপূর্ত অধিদপ্তরের ঢাকা নগর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী স্বার্নেন্দু শেখর মন্ডল জানান, রমনা পার্কে পহেলা বৈশাখে ছায়ানটের বর্ষবরণ ছাড়া অন্য যে কোন অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ। তার পরও এখানে মাইক বাজিয়ে অনুষ্ঠান করা হচ্ছে এক প্রকার জোর করেই। তাদেরকে বার বার বোঝানোর পরও শুনছেন না। কিভাবে পার্কের মধ্যে সাউন্ড বক্স প্রবেশ করলো তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের জুন মাসে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রনালয়ের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং পেশাজীবী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের অনুষ্ঠানের ফলে রমনা পার্কের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। একারনে রমনা পার্কের সৌন্দর্য বৃদ্ধি, ঐতিহ্য সুরক্ষা ও জীব-বৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য পহেলা বৈশাখে ছায়ানটের বর্ষবরণ ছাড়া অন্যকোন সংগঠনকে ওইদিন বা অন্যসময়ে কোন অনুষ্ঠান করার অনুমতি দেওয়া হবে না।
সুত্র: দৈনিক সময়ের আলো।