বাজেটের আগেই প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চায় সরকারি কর্মচারী জাতীয় পরিষদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা কিছুটা আশ্বস্ত হলেও সম্পূর্ণভাবে খুশি হতে পারেনি বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী জাতীয় পরিষদ। সংগঠনের সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ আকতার হোসেন সোমবার এক বিবৃতিতে বলেন, ১০ থেকে ২০তম গ্রেডভুক্ত কর্মচারীদের চলমান বেতন বৈষম্যসহ আর্থিক দৈনতার বিষয়টি সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করা একান্ত প্রয়োজন বলে তাদের সংগঠন মনে করছে। এহেন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সচিবালয় ও সচিবালয়ের বাইরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী কর্মচারীদের প্রতিনিধিত্বকারী ৮টি সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত সরকারি কর্মচারী জাতীয় পরিষদ আসন্ন ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের বাজেট অধিবেশনের আগেই প্রধানমন্ত্রীর সাথে স্বাক্ষাতের সুযোগ প্রদানের দাবি জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, সংগঠনটি মনে প্রাণে বিশ্বাস করে প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষাৎ পেলে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের চলমান বৈষম্যসহ চাওয়া-পাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরার সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং মানবতার মা বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী নিম্ন বেতনভূক্ত কর্মচারীদের দুর্দশা লাঘবে সদয় হবেন।

প্রসঙ্গত, অবিলম্বে নবম জাতীয় বেতন স্কেল বাস্তবায়ন এবং নবম জাতীয় বেতন স্কেল বাস্তবায়নের পূর্ব পর্যন্ত ১০-২০ তম গ্রেডভূক্ত কর্মচারীদেরকে ৫০ শতাংশ মহার্ঘভাতা প্রদানের দাবি জানিয়ে গত ১৩ মে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারিদের ৮টি সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত হয় বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী জাতীয় পরিষদ। ঐদিন সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ, বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশন, বাংলাদেশ সরকারি গাড়ীচালক সমিতি, বাংলাদেশ ১৭-২০ গ্রেড কর্মচারী সমিতি, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি, বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজ, গণপূর্ত শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন, বাংলাদেশ ডাক কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ (বাডাস) এর সমন্বয়ে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী জাতীয় পরিষদ গঠন করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নবগঠিত পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আকতার হোসেন ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন পরিষদের সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই সভাপতি নবগঠিত পরিষদের ১০১ সদস্য বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। জানানো হয়, ১৯৮৮ সনে গঠিত লিয়াজো কমিটির পর এটাই সচিবালয় ও সচিবালয়ের বাহিরের মূখ্য সংগঠনসমূহের বৃহৎ কর্মচারী মোর্চা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *