নিজস্ব প্রতিবেদক
ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবেলায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)
উড়ন্ত মশা মারার জন্য ৫ লাখ ৪০ হাজার লিটার ‘মেলাথিয়ন ৫ শতাংশ আরএফইউ’
ওষুধ কিনছে। ইতিমধ্যে দরপত্র গ্রহণ করার পর তা যাচাই বাছাই করা হচ্ছে।
তবে মশা মারার ভেজাল ওষুধ সরবরাহের কারনে তিন বছর আগে কালো তালিকাভুক্ত
হওয়া প্রতিষ্ঠাগুলোর সিন্ডিকেট গোপনে অন্য প্রতিষ্ঠানের নামে সরবরাহ করার
জন্য ফের সক্রিয় হওয়ার বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে উদ্বেগ প্রকাশ
করেছে মিডিয়া ফোরাম ফর হিউম্যান রাইটস এন্ড এনভায়রনমেন্টাল ডেভেলপমেন্ট
(মেড)। সংগঠনটি এক বিবৃতিতে এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের
দাবি জানিয়েছে।
ডিএসসিসির সংস্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, তাদের কাছে বর্তমানে মশা মারার
‘ডেল্টামেথরিন ১ দশমকি ২৫ ইউএলভি’ ওষুধ মজুদ রয়েছে। তাই ডেঙ্গুর প্রকোপ
বেড়ে যাওয়ায় দ্রুত ওষুধ কেনার প্রক্রিয়া শেষ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা
হয়েছে। তবে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ভেজাল ও নিন্মমানের মশার ওষুধ সরবরাহের
কারনে ২০১৮ ও ২০১৯ সালে ঢাকায় ডেঙ্গুতে অনেক মানুষ মারা যাওয়ার পর
সরকারের নির্দেশে প্রতিষ্ঠানগুলোকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়। ভেজাল ওষুধ
সরবরাহকারি মিজান-মাহবুব সিন্ডিকেট গত দুই বছর বেনামে ওষুধ সরবরাহের
চেষ্টা করলেও মেয়রের কঠোর অবস্থানের কারনে তারা ব্যর্থ হয়েছে। তবে
বর্তমানে তারা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের একজন উর্ধতন কর্মকর্তাকে ম্যানেজ
করে এই সিন্ডিকেট মশা মারার ওষুধ সরবরাহের জোর চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানা
গেছে। বিবৃতিতে ভেজাল ওষুধ সরবরাহকারি সিন্ডিকেট যাতে নতুন করে ফের
ভেজাল ও নিন্মমানের মশা মারার ওষুধ সরবরাহ করতে না পারে সেজন্য নগর
কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানিয়েছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ডিএসসিসির প্রধান ভান্ডার ও ক্রয় কর্মকর্তা মোহাম্মদ
বশিরুল হক ভুইয়া গণমাধ্যমকে বলেন, মশা মারার ওষুধ পর্যাপ্ত রয়েছে তাদের।
আর নতুন করে যে ওষুধ কেনা হচ্ছে তা ইজিপির মাধ্যমে দরপত্র আহবান করে
যথাযথ মূল্যায়ন করে কার্যাদেশ দেওয়া হবে। দরপত্র দাখিলকারি প্রতিষ্ঠানের
আমলনামা দেখে দরপত্র মুল্যায়ন কমিটি ও মেয়র সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। সিটি
কর্পোরেশন সব কিছু যাচাই বাছাই করেই সিদ্ধান্ত নেয়। ডিএসসিসির দরপত্রে
শতভাগ স্বচ্ছতা থাকে। এখানে কোন সিন্ডিকেটকে সুবিধা দেওয়ার সুযোগই নেই।
##