জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের নেতৃত্বে মেহেরপুরে ব্যাপক উন্নয়ন

নিজস্ব প্রতিবেদক:
স্বাধীন বাংলাদেশের জন্মের সঙ্গে জড়িয়ে আছে মেহেরপুরের নাম। মেহেরপুরেই গঠিত হয়েছিল স্বাধীন দেশের প্রথম সরকার ‘মুজিবনগর সরকার’। ১৯৭১ সালে এ সরকারের নেতৃত্বেই অর্জিত হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা। আর মেহেরপুর-১ সংসদীয় আসনেরই অন্তর্গত মুজিবনগর উপজেলা। বর্তমান সরকারের একটানা তিনবার এ আসন দখলে থাকায় রাজনীতির মাঠে আওয়ামী লীগ এগিয়ে রয়েছে। একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ টানা তৃতীয় বার সরকার গঠন করলে স্বাধীনতার পর প্রথম মন্ত্রিসভার সদস্য পায় মেহেরপুর। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং মেহেরপুর-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেনকে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী করা হয়। দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি এমপি নির্বাচত হওয়ার পর এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন কাজ হয়েছে বলে এলাকার লোকজন জানিয়েছেন।

 আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বলছেন, বর্তমান সরকারের ঈর্ষণীয় উন্নয়ন ও বিএনপির রাজনৈতিক ব্যর্থতার কারণেই আগামী সংসদ নির্বাচনে ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে আবারও জয়লাভ করবে আওয়ামী লীগ। মেহেরপুর-১ আসনে এবারও মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানান, বিগত দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচনের পরে জেলায় ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পাদন হয়েছে। প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ও। নার্সিং কলেজ, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের বহুতল ভবন এবং একটি টেক্সটাইল কারিগরি কলেজের কাজ চলমান রয়েছে। অপেক্ষায় আছে মুজিবনগরকে ঘিরে একটি আন্তর্জাতিক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক স্মৃতিকেন্দ্রের নির্মাণকাজ, যার ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া স্থলবন্দর, রেললাইন এবং কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের কাজও শুরু হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। প্রায় ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের কাজও চলমান রয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং যোগাযোগব্যবস্থা থেকে শুরু করে প্রতিটি জায়গায় সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রমের কারণে মানুষ আবারও নৌকায় ভোট দেবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখানে দলীয় কোনো কোন্দল নেই। প্রতিটি কর্মসূচিতে নেতাকর্মীরা মাঠে রয়েছেন। সম্প্রতি তিনি নির্বাচনী এলাকায় জনসংযোগে বের হলে দলীয় নেতা কর্মি ছাড়াও প্রচুর সাধারণ মানুষ তার সঙ্গে যোগ দেন বলে স্থানীয় নেতা কর্মিরা জানিয়েছেন।

তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার উন্নয়নের সরকার। মেহেরপুর পৌরসভার মধ্যে (স্কুল কলেজ মাদ্রাসা হাসপাতাল সহ অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়ন) জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের নেতৃত্বে নেতৃত্বে বাস্তবায়ন হয়েছে ব্যাপক উন্নয়কর্মকান্ড। তার মধ্যে রয়েছে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের এগারো তলা ভবনের আটতলা সম্পন্ন হয়েছে। হাসপাতালে চারতলা সার্ভিস বিল্ডিং, নার্সিং কলেজের কাজ চলমান রয়েছে, মেহেরপুর জেলা মডেল মসজিদ নির্মাণ হয়েছে। মেহেরপুর সদর উপজেলা মডেল মসজিদ, পাসপোর্ট অফিসের ভবণ, পোস্ট অফিসের নতুন ভবণ ও তুলা উন্নয়ন বোর্ডের অফিসের কাজ শেষ হয়েছে। বীজ প্রত্যয়ন অফিসের নতুন ভবন হয়েছে। মুজিবনগর থেকে মেহেরপুর পৌরসভার মধ্য দিয়ে চুয়াডাঙ্গা মুখী রাস্তাটি সম্পন্ন হয়েছে। মেহেরপুর কলেজ মোড় কুষ্টিয়া পর্যন্ত ফোরলেন হচ্ছে এবং তাহের ক্লিনিকের পাশ দিয়ে মায়ামারী মুখী রাস্তাটি পিচকরণ করা হয়েছে। পৌরসভায় সাত নম্বর ওয়ার্ডে কবি নজরুল শিক্ষা মঞ্জিল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চারতলা নতুন ভবন করা হয়েছে। পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে চারতলা নতুন ভবন ও শহীদ মিনার দেয়া হয়েছে। শহীদ ক্যাপ্টেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন , মেহেরপুর বড়বাজার মহিলা মাদ্রাসায় চার তলা নতুন ভবন, মেহেরপুর কোটপাড়া নয় নম্বর ওয়ার্ডে দারুল উলুম আহমেদিয়া মাদ্রাসায় চারতলা নতুন ভবন করা হয়েছে। এছাড়া সার্কিট হাউসকে তিনতলায় উন্নীত করা সহ দুটির দুটি গেট নির্মাণ এবং পেভমেন্ট নতুনভাবে করা হয়েছে।

পুরনো বাস স্ট্যান্ডের জায়গাটিতে শিশুদের জন্য একটি শিশু পার্ক তৈরি করা হচ্ছে, কাজ চলমান। মেহেরপুর পৌর ২ নাম্বার ওয়ার্ডে ভৈরব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন করা হয়েছে এবং মেহেরপুর পৌরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডে পুরনো বাস স্ট্যান্ডের সামনে এনএসআই জন্য একটি ডরমেট্রিসহ অফিস নির্মাণ করা হচ্ছে। মেহেরপুর সরকারি কলেজে একটি একাডেমিক ভবন, একটি এক্সাম হল, এবং একটি মেয়েদের হল নির্মাণ করা হয়েছে। মেহেরপুর পৌরসভায় সদর উপজেলা পরিষদের নতুন ভবন ও অডিটোরিয়াম নির্মাণ করা হয়েছে। ছহিউদ্দিন ডিগ্রী কলেজে নতুন চার তলা আইসিটি ভবন, মেহেরপুর জেলা আদালতের ভবন তৃতীয় তলায় উন্নীত করা হয়েছে এবং মেহেরপুর পৌরসভায় আবহাওয়া অফিসের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। সব মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজে আইসিটি ল্যাব তৈরি করা হয়েছে। মেহেরপুর ওয়াবদাতে ওজোপাডিগোর রেস্ট হাউস নির্মাণ সহ বিদ্যুতের সাবস্টেশন নির্মাণ, মেহেরপুর পৌরসভায় সরকারি শিশু পল্লীর মধ্যে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য আবাসস্থল নির্মাণ, মেহেরপুর পৌরসভার মধ্যে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় নির্মাণ ও মেহেরপুর কোট মোড় থেকে সাকিট হাউজের সামনে দিয়ে মহাজনপুরমুখী রাস্তাটি চওড়া করনসহ সুন্দরভাবে নির্মাণ করা হয়েছে।

পৌরসভার অনেকগুলো মসজিদে আর্থিক অনুদান দেয়া হয়েছে। নায়েব বাড়ী মন্দির , শ্রী বলরাম হারির মন্দির, কালী মন্দির হরিসভা মন্দির, বামন পাড়া মন্দির ও মেহেরপুর পৌর শ্মশানে অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। বি এম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গেটসহ প্রাচীন নির্মাণ এবং ভবনের সংস্কার করা হয়েছে। মেহেরপুর পৌরসভায় চুয়াডাঙ্গার রাস্তার পাশ দিয়ে ৩৩ কে ভি বিদ্যুৎ লাইন টানা হয়েছে, যার কারণে বিদ্যুতের গুণগত মান অনেক উন্নত হয়েছে। এবং বিদ্যুতের চাহিদা অনুযায়ী যোগান অনেক বাড়ানো হয়েছে। অধ্যাধুনিক ত্রাণ সংরক্ষণ গুদাম ভবণ নির্মাণ, মেহেরপুর সরকারি কলেজে ৩ প্রশাসনিক ভবণ সহ শেখ হাসিনা হল নির্মাণ, পৌর ভূমি অফিস নির্মাণ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা অফিস ও এনএসআই ভবণ করা হয়েছে। পশু হাটপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন ভবন এবং পৌরসভার সবগুলো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংস্কার সীমানা প্রাচীর ও গেট নির্মাণ করা হয়েছে এবং হচ্ছে। মেহেরপুর পৌরসভার সহিউদ্দিন কলেজের ডিগ্রী কলেজের সামনে থেকে শহর বাইপাস সড়কের ডিজাইন চূড়ান্ত করে সড়কটি অনুমোদনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

##

Print Friendly, PDF & Email