নিজস্ব প্রতিবেদক:
পারিবারিকভাবে রাজনীতিতে আসা গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ ২০১৪ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা) আসন থেকে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং তিনি দশম জাতীয় সংসদের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর পর ২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর দায়িত্ব পান প্রতিমন্ত্রীর। তাঁর পিতা ভাষাসৈনিক ও বীরমুক্তিযোদ্ধা জননেতা শামছুল হক পাঁচবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য এবং একবার উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। শামছুল হক ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনসহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের খুব কাছের রাজনৈতিক সহচর হিসাবে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। অধিকারের প্রশ্নে ভাষা সৈনিক শামসুল হক আজীবন আপসহীন ছিলেন। একারনে তাকে মরণোত্তর একুশে পদক প্রদান করা হয়। বাংলাদেশের তথা তৎকালীন বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার একজন নীতিবান, আদর্শবান এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া অত্যন্ত প্রতাপশালী রাজনীতিবিদ ও জননেতা শামছুল হক সারাজীবন মানুষের সেবা করে গেছেন। গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বলেছেন তিনিও সারাজীবন তার পিতার মতো মানুষের সেবা করে যেতে চান।
আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা কর্মিরা জানান, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-২ আসন থেকে এবারও বিপুল ভোটে জয়ী হবেন শরীফ আহমেদ। কারণ এলাকার দলীয় নেতা কর্মিরা তার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। এলাকায় তার মাধ্যমে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড হয়েছে বলেও জানান তারা।
শরীফ আহমেদ তৃণমুল রাজনীতিতে একজন মহৎ হৃদয়ের সফল মানুষ হিসেবে পরিচিত মুখ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ও নিজ পিতার রাজনৈতিক আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি ছাত্র জীবনেই বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্য হিসেবে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। তৃণমূল থেকে উঠে আসা শরীফ আহমেদ ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পরবর্তীতে ময়মনসিংহ জেলা যুবলীগের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন এবং ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামীলীগের সক্রিয় সদস্য। তিনি ধর্ম, বর্ণ, শ্রেণি, পেশা নির্বিশেষে সকল মানুষের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্ব।
তৃণমূলে বিপুল কর্মীবাহিনী তার রাজনৈতিক জীবনের প্রধান চালিকাশক্তি। রাজনৈতিক জীবনে ২০১৩ সালে জনগণ তাঁকে তারাকান্দা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত করেন। এর পর দুই দুই বার এমপি নির্বাচিত হন। রাজনৈতিক কর্মকান্ডের পাশাপাশি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের প্রতি শরীফ আহমেদ এর রয়েছে বিশেষ সম্পৃক্ততা। কথা বা কাজের মাধ্যমে অতি সহজেই তিনি তার পিতার মতো মানুষের হৃদয় জয় করতে পারেন এটি তার একটি বিশেষ গুন। সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের কল্যাণে কাজ করার মাধ্যমে দেশকে আরো উন্নত করার সংকল্পে তিনি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রথমে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। পরবর্তীতে রদবদলে তাকে সরকারের উন্নয়নসংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়।
##