মার্শালকে কালো তালিকাভুক্ত করলেও সিপিটিইউ এর অনলাইনে তোলেনি ডিএনসিসি

নিজস্ব প্রতিবেদক:
এইডিস মশার লার্ভা নিধনের জৈব কীটনাশক ‘ব্যাসিলাস থুরিংয়েইনসিস ইসরায়েলেনসিস’ (বিটিআই) আমদানি নিয়ে জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে কয়েক মাস আগে মার্শাল অ্যাগ্রোভেট কোম্পানি লিমিটেডকে ‘কালো তালিকা’ভুক্ত করার পাশাপাশি মামলা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। কিন্তুু কালো তালিকাভুক্ত করার নোটিশটি অনলাইনে দেওয়া হয়নি। সিটি কর্পোরেশনের সংস্লিষ্টদের ম্যানেজ করে নোটিশটির অনুলিপি সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ) এর অনলাইনে না দেওয়ার কারনে কালো তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানটি সিটি কর্পোরেশনগুলোতে কিটনাশক সরবরাহের প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে বলে সংস্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

সিটি কর্পোরেশনের সংস্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ই টেন্ডারের নিয়ম অনুযায়ী ক্রয় প্রক্রিয়ার যাবতীয় কার্যক্রম অনলাইনের মাধ্যমে অবগত করানো হয় এবং এটি সিপিটিউ পর্যবেক্ষন করে। সম্প্রতি কীটনাশক সরবাহ নিয়ে জালিয়াতি ও প্রতারণা করায় সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান মার্শাল অ্যাগ্রোভেট কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজকে কালো তালিকা ভুক্ত করে মামলা করে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন। এ মামলায় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আলাউদ্দিন ও নির্বাহী পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ জামিনে জেল থেকে বের হয়েছে। কিন্তুু কালো তালিকাভুক্ত করা হলেও এ সংক্রান্ত নোটিশটি এখনো পর্যন্ত অনলাইনে দেওয়া হয়নি। অভিযোগ রয়েছে কর্পোরেশনের দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেট টাকার বিনিময়ে এই নোটিশটি অনলাইনে দেওয়া আটকে রেখেছে এবং বিষয়টি সিপিটিউকে জানানো হয়নি। ফলে কালো তালিকাভুক্ত হওয়ার পরও কিটনাশক সরবরাহের প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি। সম্প্রতি উত্তরের নিষিদ্ধ এই মার্শাল অ্যাগ্রোভেট ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পোরেশনে (ডিএসসিসি) মশা মারার কীটনাশক সরবরাহের প্রক্রিয়া শুরু করলেও কাজ না পাওয়ায় পরবর্তীতে প্রভাব বিস্তার করে তারা দরপত্র বাতিলের ব্যবস্থা করে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *