তথ্য গোপন করে বরেন্দ্র প্রকল্পে পিডি নিয়োগের চেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকল্প পরিচালক (পিডি) নিয়োগে বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না কৃষি মন্ত্রণালয়ের। এবার বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) ডাবল লিফটিং পদ্ধতিতে পদ্মা নদীর পানি বরেন্দ্র এলাকায় সরবরাহ ও সেচ সম্প্রসারন প্রকল্পে দুইজন কর্মকর্তার তথ্য গোপন করে পিডি নিয়োগের চেষ্টা চলছে।

জানা গেছে গত ১১ জানুয়ারি বিএমডিএ থেকে কৃষি মন্ত্রনালয়ে প্রকল্পের পিডি নিয়োগের জন্য ৩ জনের নাম পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে থেকে একজনকে নিয়োগ দেবে মন্ত্রনালয়। সংস্থাটির কর্মকর্তা কর্মচারিরা অভিযোগ করেছেন, যে তিন জনের নাম পাঠানো হয়েছে তাদের মধ্যে তালিকার এক নম্বরে থাকা অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্বে) মো. আবুল কাশেম গুরুত্বপূর্ন আরেকটি প্রকল্প ‘পার্টনার’ এর পিডি এবং তার চাকরির মেয়াদ আছে আর মাত্র ২ বছর ১০ মাস। তাকে গত বছরের ১১ জুলাই পিডি হিসেবে নিয়োগ দেয় মন্ত্রনালয়।

আর দুই নম্বরে থাকা তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) মো. আবদুল লতিফ ‘কনজারভেশন অব গ্রাউন্ড ওয়াটার এন্ড রেইজিং ইটস ইউজ ইফিশিয়েনসি এন্ড প্রোডাকটিভিটি ইন ইরিগেটেড এগ্রিকালচার ইন বাংলাদেশ ” প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক। তার চাকরি আছে তিন বছর। তিনি যে প্রকল্পের পিডি সেই প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত। কিন্তু প্রস্তাবিত ছকে তার নাম নিয়োগকৃত বলে উল্লেখ নেই। অথচ মন্ত্রনালয়ে পাঠানো প্রস্তাবে এই দুজন যে অন্য গুরুত্বপূর্ন প্রকল্পের পিডি তার তথ্য গোপন করা হয়েছে।

এছাড়া তিন নম্বরে থাকা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাজমুল হুদা বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদ, বিএমডিএ এর সাধারণ সম্পাদক এবং তার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান। তিনি অন্য কোন প্রকল্পের পিডি নন।

অভিযোগ রয়েছে দুই জন কর্মকর্তার তথ্য গোপন করে পিডি নিয়োগের জন্য ফাইল মন্ত্রনালয়ে পাঠিয়েছে বিএমডিএ কর্তৃপক্ষ। নিয়ম অনুযায়ী অন্য কোন প্রকল্পের পিডি থাকলে সেই কর্মকর্তা নতুন কোন প্রকল্পের পিডি হতে পারবেন না। কারন একসঙ্গে দুই প্রকল্প বাস্তবায়নে বিঘ্ন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
এর আগেও গত বছর মন্ত্রণালয়ের সবচেয়ে বড় প্রকল্প প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন এন্টারপ্রেনরশিপ অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ (পার্টনার) প্রকল্পের পিডি নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল।

##

Print Friendly, PDF & Email