নিজস্ব প্রতিবেদক:
স্বাধীনতার দীর্ঘ ৫৩ বছরেও শেরপুরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা অবকাঠামোর নামকরণ না হওয়ায় জাতীয় সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন শেরপুর-১ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ছানুয়ার হোসেন ছানু। রোববার রাতে সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষনের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে এই আওয়ামী লীগ নেতা ও সংসদ সদস্য বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় অথচ এ জেলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তাদের পরিবারের সদস্যদের নামে কোনো স্থাপনা নির্মাণ হয়নি। সত্যিই এটা দুঃখজনক। এ জেলায় বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। কিন্তু একটি প্রতিষ্ঠানও বঙ্গবন্ধুর নামে নামকরণ করা হয়নি।
সংসদ সদস্য ছানুয়ার হোসেন ছানু বলেন, জাতীয় নির্বাচনের সময় তিনি তার নির্বাচনী ইশতেহারে বলেছিলেন নির্বাচিত হলে শেরপুরে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অবকাঠামো নির্মাণের উদ্যোগ নেবেন। তাই বঙ্গবন্ধুর নামে শেরপুরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করার বিষয়ে তার দেওয়া ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবি জানান। সংসদ সদস্য ছানুয়ার হোসেন ছানু তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনীদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় দ্রুত কার্যকরেরও দাবি জানান।
প্রসঙ্গত, ব্রিটিশ এবং পাকিস্তান আমলে এ অঞ্চলটির নাম ছিল শেরপুর সার্কেল। জমিদারি আমলে ১৮৬৯ সালে শেরপুর পৌরসভা স্থাপিত হয়। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শেরপুরকে ৬১তম জেলা ঘোষণা করেন। কিন্তু রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে এ সিদ্ধান্ত স্থগিত হয়ে যায়। ১৯৭৯ সালে শেরপুরকে মহকুমা, ১৯৮৪ সালে শেরপুরকে জেলায় উন্নীত করে জেলার ৫টি থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয়। এর মধ্যে শেরপুর সদর উপজেলা, নকলা উপজেলা, নালিতাবাড়ী উপজেলা, ঝিনাইগাতী উপজেলা ও শ্রীবরদী উপজেলা।
এ জেলায় বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ১৭ লাখ। যেখানে তিনটি সংসদীয় আসন রয়েছে। শেরপুর সদর নিয়ে গঠিত শেরপুর-১ আসন, নকলা-নালিতাবাড়ী নিয়ে গঠিত শেরপুর-২ আসন ও শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী নিয়ে গঠিত শেরপুর-৩ আসন। এই তিনটি আসনে মোট ভোটার ১২ লাখ ২২ হাজার ৩৯৩ জন। শেরপুর-১ (সদর) আসনে টানা পাঁচবারের সংসদ সদস্য ও দুবারের হুইপ আতিউর রহমান আতিককে পরাজিত করে এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন ছানু।