নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ পিডব্লিউডি ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতির দু’দিন ব্যাপী ৩৭তম কাউন্সিল অধিবেশন বুধবার শেষ হয়েছে। এতে গণপূর্ত বিভাগের খালি জমিতে প্লট বা ফ্ল্যাট নির্মাণ করে সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি করা, নির্মাণ কাজের একক গুনগতমান বজায় রাখতে রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী সমস্ত সরকারি স্থাপনা গণপূর্ত অধিদপ্তরের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা, উচ্চ মানের প্রশিক্ষণ একাডেমি ও টেস্টিং ল্যাবরেটরি চালু করা, পূর্ণাঙ্গ সেট-আপ বাস্তবায়ন, কাজের বণ্টন এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড সংশোধনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে পূর্ত ভবনের সম্মেলন কক্ষে এই অধিবেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র.আ.ম, উবায়দুল মোকতাদির। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার, ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ এর সভাপতি এ কে এম এ হামিদ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর সাংগঠনিক অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।
সমিতির কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের সভাপতি মোহাম্মদ রায়হান মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন প্রস্তাবনা উত্থাপন করেন। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের পেশাগত সমস্যা যেমন- পদোন্নতি, নিয়োগ, দেশে-বিদেশে উচ্চতর প্রশিক্ষণ, যানবাহন সুবিধা, জ্যেষ্ঠতা সংরক্ষণ, নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের মাসব্যাপী প্রাথমিক প্রশিক্ষণ ইত্যাদি উল্লেখ করা হয়। বক্তারা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের উপস্থাপিত মূল বক্তব্যের প্রশংসা করেন।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী উত্থাপিত পেশাগত দাবি ও সমস্যা সমাধানের জন্য সচিব ও প্রধান প্রকৌশলীকে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তিনি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজে আরও মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান।
বক্তারা বলেন, সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা সরাসরি মাঠপর্যায়ের কাজে জড়িত। স্বচ্ছতা ও দক্ষতার সাথে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে আগামীর সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়তে গণপূর্ত বিভাগের সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঐক্যবদ্ধ। বুধবার দু’দিন ব্যাপী কাউন্সিল শেষ হয়।