এমপি আসাদুজ্জামানের প্রধান লক্ষ্য স্মার্ট পবা-মোহনপুর গড়ে তোলা

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে তৃণমুল রাজনীতি থেকে সরাসরি জাতীয় সংসদে এসেছেন মোহা. আসাদুজ্জামান আসাদ। ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ছাত্র জীবনে ছিলেন ছাত্র লীগের নেতা। আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে সব সময়ই ছিলেন সামনের সারিতে। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক থাকাকালিন সময়ে সাংগঠনিক তৎপরতার মাধ্যমে আসাদ রাজশাহী জেলার প্রতিটি এলাকায় আওয়ামী লীগকে ব্যাপকভাবে সংগঠিত করেছিলেন। তৃণমুল রাজনীতি থেকে জাতীয় পর্যায়ে উঠে আসা এই সংসদ সদস্যের এখন প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে শিক্ষা, কর্মসংস্থান, কৃষি, ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে স্মার্ট পবা-মোহনপুর গড়ে তোলা। উন্নয়নের মাধ্যমে নিজের নির্বাচনী এলাকাকে আধুনিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন তিনি।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নিজ সংসদীয় আসনের উন্নয়নে ১৩ দফা ইশতেহার ঘোষণা করে রাজশাহীসহ সারা দেশে আলোচিত ছিলেন আসাদুজ্জামান আসাদ। এর পর এমপি নির্বাচিত হওয়ার কয়েক দিন পর পরিবহন থেকে চাঁদাবাজি বন্ধে পদেক্ষপ নিয়ে প্রসংশিত হন তিনি। এমপি আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, কৃষি, শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে স্মার্ট পবা-মোহনপুর গড়ে তুলতে চান তিনি। তার ঘোষণা করা ১৩ দফা ইশতেহারের মধ্যে রয়েছে শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থাদী গ্রহণ, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, নওহাটা শাহ মখদুম বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ, সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, পাঠাগার, ক্লাব ও সংঘ তৈরি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও শোধনাগার, মানবসম্পদ ও সামাজিক সুরক্ষা, জুট মিল ও সুগার মিলের উন্নয়ন ও এলাকার অবকাঠামোগত উন্নয়ন। আসাদুজ্জামান বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪ উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছিল। সেই ইশতেহার বাস্তবায়নে পূর্ণ অঙ্গিকারসহ তিনি পবা-মোহনপুরের জন্য তার উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছেন।

কর্মসংস্থান সৃষ্টির উপর গুরুত্ব দিয়ে আসাদ বলেন, দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ প্রদান পূর্বক আউট সোর্সিং, আত্মকর্মসংস্থান, ব্যবসার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি পূর্বক বিভিন্ন পন্থায় কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে আইসিটি বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করার বিষয়ে তিনি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। তিনি আরো বলেন, শস্য, ফসল ও খাদ্য উৎপাদনে কৃষকবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করা হবে। বিশেষ করে পান, আলু, মাছ, আম ইত্যাদি উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি, হাট-বাজারের অবকাঠামোগত সংস্কার ও নির্মাণ, গুরুত্বপূর্ণ ফসলের জাত গবেষণা, বিকাশ ও উৎপাদন বৃদ্ধির সম্ভ্যবতা যাচাইপূর্বক গবেষণাগার স্থাপন করা হবে। প্রয়োজনে এ সকল পণ্য বিদেশে রপ্তানির কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। কৃষিতে সার ও কীটনাশক এবং আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি সংগ্রহ ও সরবরাহ সহজতর করা, কৃষি খামার ও সমবায় সমিতির উদ্যোক্তাগণকে প্রেরণা ও প্রণোদনা প্রদানে গুরুত্ব দেয়া হবে।

মোহা. আসাদুজ্জামান আসাদ ১৯৮৫-৮৭ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, রাজশাহী সরকারী সিটি কলেজ শাখার সভাপতি, ১৯৮৮-৯০ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, রাজশাহী মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি ছিলেন।
১৯৯০ এর গণআন্দোলনে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ও পরবর্তীতে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য পরিষদ এর রাজশাহীর সমন্বয়ক ছিলেন।

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, রাজশাহী জেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদ ১৯৯৬ সালের তত্ত্বাবাধায়ক সরকারের দাবীতে আন্দোলনকে গতিশীল করতে ভূমিকা পালন করেন। ২০১৪-২০১৯ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী জেলার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সফল ভাবে দায়িত্ব পালন করেন আসাদুজ্জামান আসাদ।
তিনি ছাত্রলীগের নেতৃত্বে থাকাকালীন রাজশাহীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র সংসদে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পদে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বিজয় লাভ করেন।

তার পিতা মোঃ আলতাফ হোসেন ১৯৫৪ সালের রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের প্রথম কমিটির অন্যতম সদস্য,রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি এবং  সাবেক উপদেষ্টা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *