শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১০টি হত্যা মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
ছাত্র গণঅভ্যূত্থানে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর আওয়ামি লিগ
সভাপতি তথা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রায় প্রতিদিনই
দেশের কোথাও না কোথাও হত্যা মামলা হচ্ছে। রোববার পুরান ঢাকার কবি নজরুল
সরকারি কলেজ এবং সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের দুই শিক্ষার্থী হত্যার
অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে আরও একটি
হত্যা মামলা হয়েছে। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) তরিকুল
ইসলামের আদালতে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নাসরিন বেগম মামলাটি করেন। বাদীর
অভিযোগ এজাহার হিসেবে নথিভুক্ত করার জন্য সূত্রাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এ নিয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে
ঢাকা, চট্টগ্রাম, বগুড়া ও জয়পুরহাটে ১১টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ১০টি
মামলাই হত্যার অভিযোগে। আর অন্যটি অপহরণ মামলা।

এছাড়া ১১ বছর আগে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের
সমাবেশে গণহত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩৪ জনের
বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। রোববার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট
(সিএমএম) মো. জাকী-আল-ফারাবীর আদালতে এই মামলার আবেদন করেন বাংলাদেশ
পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বাবুল সরদার চাখারী। মামলার অন্য আসামিদের
মধ্যে আছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক
প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক উপদেষ্টা
সালমান এফ রহমান, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী
রাশেদ খান মেনন, সাবেক তথ্যমন্ত্রী জানদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক
(আইজিপি) বেনজীর আহমেদ, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম
হানিফ, সাবেক আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার, সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল
হক প্রমুখ।

মামলায় বাদীর অভিযোগ, ১৩ দফা দাবিতে ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলাম
মতিঝিলের শাপলা চত্বরে অবস্থান নেয়। আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে রাত ১১টার
দিকে বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করে দেন। এরপর শাপলা চত্বরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী
বাহিনী অভিযান চালিয়ে মাদ্রাসাছাত্র ও পথচারীদের ওপর গণহত্যা চালায়। পরে
লাশ সিটি করপোরেশনের গাড়িতে করে নিয়ে গুম করা হয়। নিহত ব্যক্তিদের পরিবার
থানায় মামলা করতে গেলে তা নেওয়া হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *