মুজিবনগর সরকারের ভুয়া কর্মচারি সাব রেজিস্ট্রার গোলাম কবিরে শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ

নিজস্ব প্রতিনিধি:
১৯৬৬ সালে জন্মের পর মাত্র ৫ বছর বয়সেই মুক্তিযোদ্ধা হয়েছেন খন্দকার গোলাম কবির। শুধু তাই নয়, ওই সনদে তিনি সাব রেজিস্ট্রার পদ ভাগিয়ে নিয়েছেন খন্দকার গোলাম কবির। ২০০৯ ইং সালে সাব রেজিস্ট্রার চাকরী পাওয়ার পর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তার। খন্দকার গোলাম কবির চালাক চতুক হওয়া কারনে তার অবৈধ উপার্জনের টাকা দিয়ে তার কৃষক ভাই খন্দকার ফারুক মিয়ার, স্ত্রী ফারহানা ফেরদৌসী ও শশুরের নামে গড়ে তুলেছে শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ।

পরবর্তীতে খন্দকার গোলাম কবি তার কৃষক ভাই খন্দকার ফারুক মিয়ার নামে অগ্রণী ব্যাংকে একাউন্টে খোলে। ঢাকায় একাধিক ফ্লাট, গাইবান্ধায় কনভেনশন সেন্টার, বাড়ি এবং গ্রামের বাড়ীতে দুই তলা বিশিষ্ট বাড়ী করেছেন। মাত্র ১৫ বছরে শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছে তার স্ত্রীও। এ যেন আলাদীনের চেরাগ পেয়েছেন খন্দকার গোলাম কবির। মাত্র ১৫ বছরের চাকরীতে শত কোটি টাকা আর একাধিক আলীশান বাড়ীর মালিক হয়েছেন সাব রেজিস্ট্রার খন্দকার গোলাম কবির। তিনি পীরগঞ্জের বাসিন্দা হলেও গ্রামে একটি ২ গলা বাড়ী করেছেন। গাইবান্ধা শহরে ৪ তলা বিশিষ্ট নাসা কনভেনশন সেন্টার, ঢাকায় মিরপুর পল্লবীতে রয়েছে আলেশিয়ান ৬ তলা বাড়ি যা সম্পূর্ণরূপে দুদকের চোখের আড়ালে।

সাব রেজিস্ট্রার গোলাম কবিরের ছোট ভাই খন্দকার ফারুক মিয়ার নামে অগ্রনী ব্যাংক লি:, পীরগঞ্জের শানেরহাট শাখায় ২০২০ একটি একাউন্ট খোলা হয়। সেই একাউন্টে অস্বাভাবিক লেনদেন হয়েছে। খন্দকার ফারুক সামান্য কৃষক। অথচ তার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যাংকে এসেছে। এই টাকার উৎস কি, তা জানা যায়নি। অগ্রনী ব্যাংক লি: এর শানেরহাট শাখায় খন্দকার ফারুক এর ওই একাউন্টে ঢাকার মীরপুর সহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ২০২০ সালে ১৭ লক্ষ, ২০২১ সালে ৪১ লক্ষ, ২০২২ সালে ২৫ লক্ষ, ২০২৩ সালে ১৩ লক্ষ এবং ২০২৪ সালে ২০ লক্ষ টাকা মোট ১ কোটি ১৬ লক্ষ টাকা এসেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *